হেনস্থার ঘটনা নিয়ে সরব গুগলের কর্মীরা।
সুন্দর পিচাইকে খোলা চিঠি দিলেন গুগলের ৫০০ জন কর্মী। তাঁদের আর্জি, গুগল-এ কর্মীদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করা হোক।
বিগত কয়েক বছরে হেনস্থার ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েছে গুগলের দফতরগুলিতে। সে কথা জানিয়ে ওই চিঠিতে গুগল কর্মীদের আবেদন, হেনস্থাকারীদের সাহায্য করা বন্ধ করুক গুগল। বদলে সেইসব কর্মীদের পাশে দাঁড়াক যারা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
সম্প্রতিই দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে গুগলেরই এক প্রাক্তন কর্মীর হেনস্থার অভিজ্ঞতার কথা। সেই অভিজ্ঞতা বেশ শোরগোল ফেলেছে কর্পোরেট দুনিয়ায়। তারপরই এই চিঠি।
গুগলের ওই প্রাক্তন কর্মী এবং পেশাদার প্রযুক্তিবিদের নাম এমি নেটফিল্ড। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখা কলামে তিনি জানিয়েছিলেন, জীবনে আর কর্মক্ষেত্রকে ভালবাসতে পারবেন না তিনি। গুগলে হওয়া তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর থেকে তিনি আর ওই পথেই পা বাড়াবেন না।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এমি তাঁর গুগলের দফতরে হওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন। এমি জানিয়েছিলেন, কীভাবে প্রতিদিন তাঁর হেনস্থাকারীর সঙ্গেই দিনের প্রতিটা মুহূর্ত কাটাতে হত তাঁকে। গুগল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কারণ তাঁরা তাঁকে সাহায্য করেননি। উল্টে এমিকে তাঁর সঙ্গে একা কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন। অভিযোগ জানালে, মানসিক চিকিৎসা, কিংবা বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হত। এমনকি, তাঁকে ছুটিও নিতে বলেছিল গুগল। কিন্তু হেনস্থাকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি। পিচাইকে লেখা চিঠিতে গুগল কর্মীরা জানিয়েছেন এমির ঘটনা গুগলের দফতরে হওয়া একমাত্র হেনস্থার ঘটনা নয়। আগেও বহুবার বহু কর্মী হেনস্থার শিকার হয়েছেন। অথচ গুগল তাদের হয়ে কথা না বলে হেনস্থাকারীদেরই বাঁচাতে তৎপর হয়েছে। এমনকি, হেনস্থার ঘটনায় গুগল ছা়ড়তে বাধ্য হলেও হেনস্থাকারীদের বিপুল অর্থ সাহায্য করেছে গুগল।
চিঠিতে পিচাইকে সবই জানিয়েছেন গুগল কর্মীরা। এর আগেও ২০১৮ সালে গুগলের প্রায় ২০ হাজার কর্মী যৌন হেনস্থার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। তবে গুগল এই চিঠির প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ দেখাশোনা এবং সমাধানের জন্য তাদের উপযুক্ত পরিকাঠামো আছে। এ ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারেই তদন্ত করে তাদের সংশ্লিষ্ট দফতর।