রিঙ্কু সিংহ রাহী। ছবি: সংগৃহীত।
পর পর সাতটি বুলেট বিঁধেছিল তার শরীরে। চিকিৎসকেরা প্রায় জবাবই দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবনের লড়াইয়ে জিতে গিয়েছিলেন রিঙ্কু সিংহ রাহী। বেশ কয়েক মাস হাসপাতালে থাকার পরে কাজে ফিরেছিলেন উত্তরপ্রদেশ সিভিল সার্ভিসের ওই অফিসার। এ বার ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।
২০০৮ সালে মুজফ্ফরনগরে ৮৩ কোটি টাকার সরকারি বৃত্তি দুর্নীতি হাতেনাতে ধরেছিলেন উত্তরপ্রদেশ সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক রিঙ্কু। তারই পরিণামে রাজনৈতিক মদতপুষ্ট সংগঠিত চক্রের নিশানা হয়েছিলেন তিনি। ওই মামলায় আট জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার মধ্যে চার জনের ১০ বছর জেলের সাজা হয়েছিল। কিন্তু মূল চক্রীরা আড়ালে থেকে গিয়েছিল বলে অভিযোগ।
বর্তমানে হাপুরে কর্মরত সৎ এবং পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ওই অফিসার অবশ্য পুরনো বিতর্ক নিয়ে বেশি কিছু বলতে নারাজ। যদিও এখনও তাঁর শরীরে রয়েছে পুরনো জখমের চিহ্ন। এমনকি, তাঁর মুখের একাংশও গুলির আঘাতে কিছুটা বিকৃত। একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গিয়েছে। শ্রবণশক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০৯ সালের মার্চ মাসের সেই ঘটনায়।
২০০৪ ব্যাচের উত্তরপ্রদেশ সিভিল সার্ভিসের অফিসার রিঙ্কু বুধবার বলেন, ‘‘রাজ্যের পড়ুয়াদের স্থার্থে আমি একটি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াতে যেতাম। সেখানকার ছাত্ররাই আমাকে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার বলতে থাকে। বলতে পারেন, তাঁদের প্ররোচনার কারণেই আমি এটা করেছিলাম।’’ ইউপিএসি সিভিল সার্ভিসে ৬৮৩ র্যাঙ্ক করে রিঙ্কু এখন কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকের প্রশিক্ষণ নেওয়ার অপেক্ষায়।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।