ফাইল চিত্র।
‘লভ জিহাদ’ যখন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, এই সংক্রান্ত একটি মামলার রায়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, কে হিন্দু, কে মুসলিম তা নিয়ে আদালতের কোনও মাথাব্যথা নেই। বিষয়টিকে এ ভাবে না দেখে দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের সম্পর্ক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কে কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন, সেটা ওই দুই ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।
প্রিয়ঙ্কা খারওয়াড় নামে এক হিন্দু তরুণীকে গত বছর বিয়ে করেন সালামত আনসারি নামে এক মুসলিম ব্যক্তি। সালামতের শ্বশুরবাড়ির লোকের অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করেছেন সালামত। মামলাটি ইলাহাবাদ হাইকোর্টে উঠলে প্রিয়ঙ্কার পরিবারের করা এফআইআর খারিজ করে আদালত। সঙ্গে জানিয়ে দেয়, কারও ব্যক্তিগত সম্পর্কে নাক গলানো মানেই তাঁদের পছন্দের স্বাধীনতা হরণ করা।
এর পরই আদালত জানায়, প্রিয়ঙ্কা এবং সালামতের বিয়েকে তারা হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিয়ে হিসেবে দেখছে না। বরং দুই প্রাপ্তবয়স্কের বিয়ে হিসেবে দেখা হচ্ছে। যাঁরা সম্পূর্ণ নিজেদের পছন্দে একে অপরকে বিয়ে করেছেন এবং সুখে-শান্তিতে এক বছর ধরে সংসার করছেন।
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ১২০ কিমিও হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’-এর সর্বোচ্চ গতিবেগ
‘লভ জিহাদ’ নিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো দীর্ঘ দিন ধরেই সরব। সম্প্রতি হরিয়ানায় এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই বিতর্ক আরও গতি পায়। তার পর পরই ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, শুধুমাত্র বিয়ের জন্য ধর্মান্তরণ গ্রহণযোগ্য নয়। হাইকোর্টের এই রায়ের পরই হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশ একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য এই বিষয়ে কঠোর আইন আনার চিন্তাভাবনাও শুরু করে দেয়।
লভ জিহাদ নিয়ে সোমবারই মুখ খুলেছেন সাংসদ-তারকা নুসরত জাহান। তাঁর মতে, 'লভ' এবং 'জিহাদ' দুটো শব্দের অর্থ সম্পূর্ণ বিপরীত। এই দুটো শব্দের সহাবস্থান কখনওই হতে পারে না। অথচ ভোট এলেই এই 'লভ জিহাদ' শব্দবন্ধটা ঘুরে ফিরে আসে।