নয়ডার যমজ অট্টালিকা। ফাইল চিত্র।
শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না নয়ডার এমারেল্ড কোর্টের জোড়া ইমারত ভোগান্তি। ৩২ তলা টাওয়ার দুটির বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এর আগে আপত্তি তুলেছিলেন নয়ডার বাসিন্দারা। সেই আপত্তির জেরে গত মাসে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় এমারেল্ড কোর্টের দুই ইমারত অ্যাপেক্স এবং সেয়ান কে। এ বার নয়ডাবাসীরা অভিযোগ করেছেন জোড়া ইমারতের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে। তাঁদের দাবি ওই বিপুল পরিমাণ ভাঙ্গা কংক্রিট শীত পড়লেই দূষণ ছড়াবে এলাকায়। যা বয়স্ক মানুষজনের শাসকষ্টের কারণও হতে পারে।
এ ব্যাপারে জানিয়ে নয়ডা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও দিয়েছেন এমারেল্ড কোর্ট চত্বরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, জঞ্জাল সরানোর কাজ শুরু হলেও তা আচমকা থমকে গিয়েছে। দেরি করা হচ্ছে কাজে। ফলে জমে থাকা জঞ্জাল থেকে শীতের রুক্ষ আবহাওয়াতে ছড়াতে পারে দূষণ। শীত কালে এমনিতেই দিল্লি এবং তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে দূষণ বাড়ে। এর সঙ্গে জোড়া ইমারত দূষণ ছড়াতে শুরু করলে অবস্থা সঙ্গীন হতে পারে।
উল্লেখ্য, জোড়া ইমারত ধ্বংস করার পর তা থেকে ৩৬ হাজার কিউবিক মিটারের ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়। যার মধ্যে ২৩ হাজার কিউবিক মিটার দিয়ে বেসমেন্ট তৈরি হয়েছে ওই খানেই। বাকি ১৩ হাজার কিউবিক মিটার জঞ্জাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমারেল্ড কোর্টের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন গত দুসপ্তাহ কাজ হলেও ত আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।