অশোক চহ্বাণ
আদালতের রায়ে মুছে গিয়েছে টু-জি কলঙ্ক। সেই রায়ের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরও একটি বড়সড় অভিযোগ থেকে মুক্তি পেল কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের ‘আদর্শ কোঅপারেটিভ হাউসিং সোসাইটি’-র দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়েছিল এক দিন। তাই রায় ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘গত সাত বছরে আমার অনেক ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বেড়ে গেল।’’
গুজরাতের ভোটে বিজেপিকে টক্কর দিয়ে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছিল কংগ্রেসে। তার পরে এল টুজি মামলার রায়। টেলিকম কেলেঙ্কারিতে এত দিন ধরে গায়ে লেগে থাকা দুর্নীতির কালি উঠে যেতেই স্বস্তি রাহুল গাঁধী শিবিরে। তার মধ্যেই আদর্শ নিয়ে জয় দলকে আরও চাঙ্গা করে তুলেছে।
আদর্শ দুর্নীতিতে তাঁর পরিবার জড়িয়ে রয়েছে, এমন অভিযোগে ২০১০ সালে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হয়েছিল চহ্বাণকে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলতে থাকেন বিরোধীরা। তবে ২০১৩ সালে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল কে শঙ্করনারায়ণন তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের ছাড়পত্র দেননি। কিন্তু শাসন ক্ষমতা বদলের পরে ফের চাপে পড়েন চহ্বাণ। দিল্লির সঙ্গে মহারাষ্ট্রেও আসে বিজেপি। ২০১৬ সালে রাজ্যপাস সি বিদ্যাসাগর রাও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়ে দেন। যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চহ্বাণ। সেই অনুমতিকেই শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
মুখ্যমন্ত্রীর গদি থেকে সরালেও কংগ্রেস যদিও চহ্বাণকে কখনওই দলের মধ্যে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেনি। এই মূহূর্তে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও নানদেড়ের সাংসদ। রায় ঘোষণার পরেই তাই বিজেপিকে নিশানা করেছেন চহ্বাণ। তাঁর অভিযোগ, ভাবমূর্তিতে কালি লেপতেই নানা অভিযোগ আনার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কোর্টের এ দিনের রায়ে রাজভবনের গরিমা রক্ষা পেয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।