প্রতীকী ছবি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ইন্ডিজিনিয়াস ন্যাশনালিস্ট পার্টি অব তুইপ্রা (আইএনপিটি) তার আগের বিরোধিতাতেই অটল রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়ে দিয়েছেন দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি বিজয় রাঙ্খলের দাবি, তিনি এই বিল পাশ হলে পরিণাম কী হবে তা আগেভাগে ভাবা উচিত। সংবিধানে জাতপাত বা ধর্মের ভিত্তিতে বাছাই করে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনও সুযোগই নেই।
দিল্লিতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অমিত শাহ ত্রিপুরার বিভিন্ন দল, সংগঠনের বৈঠক ডাকেন। সেখানেই রাঙ্খল তাঁর মতামত জানান। তিনি জানান, আগামী ৫ ডিসেম্বর এই বিলের প্রতিবাদে সারা রাজ্যে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত থেকে তাঁরা সরছেন না। তাঁর বক্তব্য, ভারত বিভাজন ও বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের পরে শরণার্থীর চাপে ত্রিপুরার জনসংখ্যার বিন্যাসটাই বদলে গিয়েছে। শরণার্থীদের জায়গা দিতে গিয়ে আদিবাসীরা এখন সংখ্যালঘু।
তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখনও বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে আসা আদিবাসী, রোহিঙ্গা, নাইজেরিয় এবং মুসলিম বাঙালিদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু হিন্দু বাঙালিদের ক্ষেত্রে তা করা হয় না।’’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি ১৯৮৮ সালের কেন্দ্রীয় সরকার ও তৎকালীন টিএনভি-র শান্তি চুক্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে কার্যত হুমকিই দিয়েছেন, ‘‘শান্তির জন্যে এই চুক্তি করা হয়েছিল। এখন যদি এই বিল পাশ করা হয় তাহলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: এসপিজি তুলে নিতেই বিপত্তি, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর বাড়িতে ঢুকে পড়ল সন্দেহজনক গাড়ি!