—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এত দিন পুজো হয়েছে বটে, তবে তা পাথরের স্থায়ী মূর্তির পুজো। এ ভাবে মাটির প্রতিমার পুজো কখনও দেখেননি মিজ়োরামের রিয়াংরা। মামিত জেলার তুইপুইবাড়িতে প্রতিমা নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর থেকে। অসমের শিলচর থেকে গিয়েছেন পুরোহিত। এলাকার রিয়াংবস্তিতে রয়েছে কয়েকটি নেপালি পরিবার। পুজোয় সামিল তাঁরাও।
আইজল-সহ মিজোরামের দুই-চার জায়গায় দুর্গাবন্দনা হলেও সেগুলি পাথরে নির্মিত স্থায়ী মূর্তিতে। নিত্য দিনের পূজারীই দুর্গোৎসবের তিন দিন পূজার্চনা করেন। ৬২ বছর বয়সী অধরাই রিয়াং জানান, তিনি ছেলেবেলায় ক্যালেন্ডারে দুর্গার মহিষাসুর বধের ছবি দেখেছিলেন। এ বার দেখলেন তাঁর মৃন্ময়ী রূপ। তাঁর কথায়, তাঁরা পরম্পরাগত কিছু পূজার্চনা করলেও পাড়ায় দুর্গাপূজা করা হবে, এর আগে কখনও ভাবতেই পারেননি। পুরুষরা যেমন চাঁদা সংগ্রহ, বাজার-হাট করেছেন, মহিলারা পুজোর যাবতীয় কাজকর্ম সেরেছেন। তিন দিন ধরে পাড়াসুদ্ধ মানুষের প্রসাদ গ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে। ডাল-ভাত-সবজি। একই কলাপাতায় গোল হয়ে খাচ্ছেন তিন-চার জন। প্রতিক্রিয়া জানাতে আনন্দে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এলাকার যুবক রাজু রিয়াং। মঙ্গলবার মণ্ডপ থেকে সাত কিলোমিটার দূরে সাজাই নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হবে।