শহিদ চিকিৎসকেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা। গুয়াহাটিতে। ছবি: এএনআই
এ বছর ‘ভারত রত্ন’ চিকিৎসকদেরই দেওয়া উচিত, মত অরবিন্দ কেজরীবালের। একটি টুইটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টির প্রধান কেন্দ্রের কাছে এই দাবি রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুধু চিকিৎসক নন, চিকিৎসা কর্মী এমনকি সব স্বাস্থ্যকর্মীকেও এই সম্মান জানিয়ে তাঁদের প্রতি দেশের শ্রেষ্ঠ সম্মান উৎসর্গ করা উচিত। অরবিন্দের টুইট, ‘করোনায় শহিদ হওয়া চিকিৎসকদের প্রতি এটাই হবে দেশের তরফে যথার্থ শ্রদ্ধার্ঘ্য।’
রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই টুইট করেন কেজরীবাল। হিন্দি হরফে লেখেন, ‘এ বছর ‘ভারতীয় চিকিৎসকদেরই’ ভারত রত্ন পাওয়া উচিত। ‘ভারতীয় চিকিৎসক’ বলতে কিন্তু আমি সমস্ত চিকিৎসক, নার্স এবং চিকিৎসাকর্মীর কথা বলছি।’
তিন দিন আগেই ১ জুলাই চিকিৎসক দিবস উপলক্ষ্যে চিকিৎসকদের আত্মত্যাগের প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, ‘‘একজন দেশবাসীর প্রাণ যাওয়া দুঃখজনক। তবে ভারত বহু দেশবাসীর প্রাণ বাঁচাতেও পেরেছে। যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেশের চিকিৎসকদের। কৃতিত্ব প্রথম সারিতে থেকে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসাকর্মীদেরও।’’
রবিবার কেজরীবাল তাঁর টুইটে লিখেছেন, চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে ভারত রত্ন দেওয়া হলে গোটা দেশ খুশি হবে। শুধু তাই নয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘নিজেদের এবং পরিবারের চিন্তা না করে চিকিৎসা করে চলেছেন যে চিকিৎসকেরা বা যাঁরা চিকিৎসা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন, তাঁদের প্রতি দেশের যথার্থ শ্রদ্ধার্ঘ হবে এই সম্মান জানানো হলে।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ পর্যন্ত ৮০০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আইএমএ। এর মধ্যে সবার আগে আছে দিল্লিই। ১২৮ জন চিকিৎসক করোনা চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন। এর পরেই রয়েছে বিহার। করোনায় সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জন চিকিৎসকের। এছাড়া মহারাষ্ট্র এবং কেরলেও মৃত চিকিৎসকের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ এবং ২৪ জন। পুদুচেরি এ ব্যাপারে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। সেখানে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।