—প্রতীকী ছবি।
সর্বশেষ ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাই চাইলে জম্মু-কাশ্মীরে যে কোনও দিন নির্বাচন হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র। তবে জম্মু-কাশ্মীরকে কবে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট আশ্বাস শীর্ষ আদালতকে দিতে ব্যর্থ হয় সরকার পক্ষ।
জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বহু মামলা দায়ের হয়েছিল। সেগুলিকে একত্রে এনে সম্প্রতি শুনানি শুরু করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সওয়াল-জবাব শুরু হয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা কাশ্মীরের পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, “ওই রাজ্যের সাম্প্রতিকতম তথা সর্বশেষ ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাই পঞ্চায়েত ও পুর ভোটের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হতে কোনও সমস্যা নেই। তবে বিধানসভা ভোট কবে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।”
নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। আজ তুষার মেহতা এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে বলেন, “কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার ওই সিদ্ধান্ত ছিল সাময়িক সময়ের জন্য।” তবে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা কবে ফিরে পাবে, তা স্পষ্ট ভাবে শীর্ষ আদালতকে জানাতে পারেননি মেহতা।
ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্বাচনী কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরোধিতা শুরু করেছে কাশ্মীরের প্রধান দলগুলি। ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিদের অভিযোগ, নতুন বিধানসভা এলাকা চিহ্নিত করা বা ডিলিমিটেশনের কাজে বিজেপির লাভের বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে। বিশেষ করে জম্মুর হিন্দুপ্রধান এলাকায় ছোট ছোট অনেক বিধানসভা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, যাতে সংখ্যার বিচারে সেগুলি বেশি হয়। আবার ভোটার লিস্টেও অনেক গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে সবের সুরাহা করে, কেন্দ্র বললেই যে উপত্যকায় ভোট করা যাবে, ব্যাপারটা তা নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।