এক অধ্যাপক এবং পাঁচ পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।
নাটকের নাম ‘রামলীলা’। তাতে রাম আছেন, লক্ষণ আছেন, সীতাও রয়েছেন। তবে কলিযুগের সীতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য খানিক বদলে গিয়েছে। সেখানে সীতা আয়েস করে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছেন। মুখেও অশ্রাব্য শব্দের ফোয়ারা। সেই নাটকের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হল। সেই মামলায় এক অধ্যাপক এবং পাঁচ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃত অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা প্রত্যেকেই পুণের সাবিত্রিবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘রামলীলা’ নামে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। তার নেপথ্যে ছিলেন পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ললিত কলা কেন্দ্র বা সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসের সদস্যরা। তাঁরা ‘রামলীলা’ নাটকটি তৈরি করেছিলেন, যার ভিত্তি ছিল নাটকের বিভিন্ন অভিনেতার মঞ্চের পিছনের আড্ডা-গল্প।
সেই নাটকেই সীতার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় এক পুরুষ অভিনেতাকে। অভিযোগ, ‘রামলীলা’র সীতার মুখে গালাগালির বন্যা বইছিল। সেই সঙ্গে ধূমপান করছিলেন তিনি। তার পরেই অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর সদস্য এবং পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ললিত কলা কেন্দ্রের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এবিভিপির অভিযোগ, সম্পূর্ণ নাটকে একাধিক আপত্তিকর কথোপকথন এবং দৃশ্য ছিল। সেই নিয়েই এবিভিপির কর্মকতা হর্ষবর্ধন হারপুডে থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৯৫(এ) (ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে যে কোনও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা) এবং অন্যান্য ধারায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ।
তার পরেই গ্রেফতার করা হয় ছয় জনকে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ললিত কলা কেন্দ্রের বিভাগীয় প্রধান প্রবীণ ভোলে এবং ভবেশ পাতিল, জয় পেডনেকর, প্রথমমেশ সাওয়ান্ত, ঋষিকেশ দলভি ও যশ চিখলে নামে পাঁচ ছাত্র। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।