সেতুতে আটকে সেই গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রযুক্তির উপর চোখ বুজে ভরসা করার ফল। ‘শর্টকাট’ হবে ভেবে জিপিএসের দেখানো পথেই গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মহিলা। তা করতে গিয়েই এসে পড়লেন খাদের উপর ঝুলন্ত কাঠের সেতুর মাঝখানে। অবস্থা এমন যে, না এগোনোর উপায় রয়েছে, না পিছোনোর জায়গা! তার মধ্যেই নড়াচড়া করতে গিয়ে কাঠের ফাঁকে আটকে গেল চাকা। শেষমেশ উদ্ধারকারী দল এসে ট্র্যাক্টরের সাহায্যে তুলে আনল সেই গাড়ি।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৮ জানুয়ারি তাইল্যান্ডের উইয়াং থং ব্রিজের উপর। এক মহিলা তাঁর সাদা রঙের সেডান গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পরিচিত না থাকায় তিনি জিপিএসের দেখানো পথে এগোচ্ছিলেন। সেই জিপিএসই উইয়াং থং ব্রিজের উপর দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তাঁকে। আগুপিছু না ভেবেই ব্রিজে উঠে পড়েন মহিলা। কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারেন, সেতুটি কাঠের তৈরি এবং এতটাই সরু যে, সেটি গাড়ি চালানোর জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এ সবের মধ্যে ১৫ মিটার এগোনোর পরেই কাঠের ফাঁকে গাড়ির বাঁ দিকের চাকা আটকে যায়।
নড়াচড়ার উপায় নেই দেখে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন মহিলা। সেই সময় সেতুটি পার হবেন বলে বেরিয়েছিলেন মাকুন ইনচান নামে এক পথচারী। মহিলার আর্তি শুনে তিনি এগিয়ে গিয়ে পুরো বিষয়টি দেখেন এবং উদ্ধারকারী দলকে খবর দেন।
উদ্ধারকারীরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নতুন করে কোনও ক্ষতি না করে আটকে পড়া গাড়িটিকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করা হয়। হন্ডা সেডান গাড়িটিকে নিরাপদে তুলে আনতে দু’টি ট্র্যাক্টরকে কাজে লাগানো হয়েছিল। দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় গাড়িটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
দিন কয়েক আগে তামিলনাড়ুর গুডালুরে একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। ভিন রাজ্যে ঘুরতে গিয়ে গুগল ম্যাপ দেখে এগোচ্ছিলেন তিন যুবক। তাতেই একটি খাড়া সিঁড়ি বেয়ে গড়গড়িয়ে খানিক নেমে গিয়ে তার পর দাঁড়ায় তাঁদের গাড়ি। শেষমেশ পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল এসে তাঁদের সেখান থেকে বার করে।