ফাইল চিত্র।
অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর এ বার তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে সরাসরি প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রামদেব।
বৃহস্পতিবার নেটমাধ্যমে শেয়ার হওয়া একটি ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায় এ কথা। ওই ভিডিয়োয় অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছে তাঁকে। একপ্রকার হাসতে হাসতে গ্রেফতারির এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। সরাসরি নাম না করলেও ভিডিয়োয় কেন্দ্রকেই তিনি নিশানা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘স্বামী রামদেবকে ওর বাবাও গ্রেফতার করতে পারবে না। ওরা ‘ঠগ রামদেব’, ‘মহাঠগ রামদেব’, ‘গ্রেফতার রামদেব’ এ সব ট্রেন্ড করাচ্ছে নেটমাধ্যমে। ওরা এ রকম করুক। আমার লোকেরা এ সব দেখে অভ্যস্ত।’ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং অ্যালোপ্যাথ চিকিৎসকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ‘#অ্যারেস্টরামদেব’ ট্রেন্ড হতে শুরু হয়েছে। এই ট্রেন্ডের প্রেক্ষিতেই ওই মন্তব্য করেন রামদেব।
সম্প্রতি এক ভিডিয়োতে রামদেবকে বলতে শোনা যায়, ‘‘চিকিৎসা বা অক্সিজেন না পেয়ে যত মানুষ মারা গিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে। অ্যালোপ্যাথি এক দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বিজ্ঞান।’’ করোনা অতিমারির মধ্যে এই ভিডিয়ো সামনে আসায় প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। রামদেবকে আইনি নোটিস পাঠায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। পরে রামদেবের পতঞ্জলি সংস্থার তরফে এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, রামদেব ওই অনুষ্ঠানে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পড়ছিলেন। ভিডিয়োটি এডিট করে প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে তাঁর মন্তব্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এর পরই তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নিয়ে মন্তব্যের জন্য রামদেবকে আগেই এক হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলার নোটিস পাঠিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। যোগগুরুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করার আর্জি জানিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখে আইএমএ।