‘দ্বিতীয় শতকে’ তৈরি মন্দিরের পক্ষে সওয়াল

বিতর্কিত ওই জমি পরিদর্শন করে ১৯৫০ সালে রিপোর্ট দিয়েছিলেন কোর্টের কমিশনার। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বৈদ্যনাথন দাবি করেন, ওই মন্দির খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে তৈরি

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৮
Share:

সুপ্রিম কোর্ট।

বাবরি মসজিদের আগে অযোধ্যার বিতর্কিত ওই জমিতে ‘বিশাল এক রামমন্দির’ ছিল বলে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করলেন ‘রামলালা বিরাজমান’ পক্ষের আইনজীবী সিএস বৈদ্যনাথন।

Advertisement

বিতর্কিত ওই জমি পরিদর্শন করে ১৯৫০ সালে রিপোর্ট দিয়েছিলেন কোর্টের কমিশনার। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই বৈদ্যনাথন দাবি করেন, ওই মন্দির খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে তৈরি। পরে তা ভেঙেই মসজিদ তৈরি করা করা হয়।

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে আজ ছিল অযোধ্যা শুনানির সপ্তম দিন। রামজন্মভূমির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বৈদ্যানাথন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (আইএসআই) তৈরি ২০০৩-এর একটি রিপোর্টও পেশ করেন। তাতে বিশাল বিশাল থামের তৈরি অতি প্রাচীন এক মন্দির স্থাপত্যের ‘প্রমাণ’ রয়েছে বলে জানান রামলালা বিরাজমান পক্ষের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, বিতর্কিত অঞ্চলটিতে হিন্দুদের অস্তিত্ব এই রিপোর্টই তুলে ধরেছে।

Advertisement

বৈদ্যনাথনের দাবি, আইএসআই-এর অ্যালবামে ওই মন্দির থেকে পাওয়া শিবের ছবি রয়েছে। আছে কিছু সিংহ, পদ্মের ছবিও। যা কোনও ভাবেই মসজিদের অংশ হতে পারে না বলে দাবি বৈদ্যনাথনের। এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতিও মন্দিরের অস্তিত্বের এই প্রমাণ গ্রাহ্য করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ কবরের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললে বৈদ্যনাথন বলেন, ‘‘বিতর্কিত জমিতে বহুস্তরীয় খনন হয়েছিল। এই কবর আরও অনেক পরবর্তী কালের।’’ তাঁর যুক্তি, খননের সময়ে দু’পক্ষের তরফেই হাজির ছিলেন সর্বেক্ষণ কর্তারা। সামগ্রিক খননকার্য ভিডিয়োতে ধরা আছে।

শুনানিতে এ দিন নমাজের প্রসঙ্গও তোলে বেঞ্চ। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে জমির ভাগ দিতে অস্বীকার করে ‘রামলালা বিরাজমান’ পক্ষের আইনজীবী পাল্টা যুক্তি দেন, ‘‘কোথাও কেউ নমাজ পড়লেই কি সেই জায়গাটা তাকে ছেড়ে দিতে হবে? নমাজ তো রাস্তাতেও পড়া হয়!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement