নিরাপত্তার দাবিতে মিছিল

হাইলাকান্দিতে উপজাতি মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে মিছিল করল স্কুলপড়ুয়ারা। একই সঙ্গে এক উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয় তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৬
Share:

উপজাতি মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় স্কুলপড়ুয়ারা। শুক্রবার হাইলাকান্দিতে। ছবি: অমিত দাস।

হাইলাকান্দিতে উপজাতি মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে মিছিল করল স্কুলপড়ুয়ারা। একই সঙ্গে এক উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয় তারা।

Advertisement

বরাক ভ্যালি ত্রিপুরা পিপলস অ্যাসোসিয়েশন, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-সহ কয়েকটি সংগঠনের নেতৃত্বে আজ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে স্মারকপত্রও দেয়।

ত্রিপুরা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইনতি মোহন ত্রিপুরা ও সম্পাদক বিজয় কুমার ত্রিপুরা জানান, দক্ষিণ হাইলাকান্দির উপজাতিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বার বার খুন-ধর্ষণ-অপহরণের শিকার হচ্ছেন। স্বাধীনতার ৬৭ বছর পরও উপজাতি গ্রামগুলিতে উন্নয়ন পৌঁছয়নি। তাঁদের বক্তব্য, ৩০ অগস্ট দক্ষিণ হাইলাকান্দির বরুণছড়া গ্রামে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। বরাক ভ্যালি ত্রিপুরা পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজেন্দ্র ত্রিপুরা এবং সাধারণ সম্পাদক কিরন কুমার ত্রিপুরা ওই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি উপজাতি এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তার আর্জিও জানানো হয়। অখিল ভারতীয় বিদার্থী পরিষদের সদস্যরাও প্রতিবাদ মিছিলে সামিল ছিল। একই দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অসমের মুখ্যমন্ত্রী ও হাইলাকান্দির পুলিশ সুপারের কাছেও স্মারকপত্র পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশকে প্রশিক্ষণ প্রাক্তন জঙ্গিদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, করিমগঞ্জ, ১১ সেপ্টেম্বর: পুলিশকে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের প্রশিক্ষণ দেবে আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা!

এমনই জানিয়েছে অসম পুলিশ। খবর মিলেছে, করিমগঞ্জ শাখার ২৫ জন পুলিশকর্মীকে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের খুঁটিনাটি শেখাবে আত্মসমর্পণকারনী ডিএইচডি ও এনএসসিএন জঙ্গিরা। সে জন্য ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্যের একটি দল করিমগঞ্জে এসে পৌঁচেছে। সেই দলে রয়েছেন আমেরিকার কমান্ডো বাহিনীকে ‘ক্রাউড কন্ট্রোলের’ প্রশিক্ষণ দেওয়া এক বিশেষ প্রশিক্ষকও। আগামী কালই তাঁদের সঙ্গে ২৫ জন পুলিশকর্মী করিমগঞ্জের প্রত্যন্ত মেদলিছড়ায় পৌঁছবেন। সেখানকার পাহাড়ি এলাকায় তাঁবুতে থাকবেন সকলে। ডিএইচডি, এনএসসিএন-এর আত্মসম্পর্ণকারী জঙ্গিরা তাঁদের সেখানেই প্রশিক্ষণ দেবে।

করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দির প্রত্যন্ত এলাকায় জঙ্গিদের আনাগোণা রয়েছে। মাঝেমধ্যেই তারা অপহরণ, তোলাবাজি করে। করিমগঞ্জের জেলার মেদলি, দামছড়া, রংপুর, নিভিয়া, চেরাগির প্রত্যন্ত এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। তাই পুলিশ সহজে সেখানে জঙ্গি-বিরোধী অভিযান চালাতে পারে না। পুলিশ সূত্রে খবর, অসম পুলিশের অধিকাংশ জওয়ানেরই জঙ্গল-পাহাড় এলাকায় এ ধরনের অভিযানের তেমন কোনও প্রশিক্ষণ নেই। সে দিকে তাকিয়েই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর রাজ্য পুলিশের শীর্ষ মহলের সঙ্গে কথা বলে ডিমা হাসাও জেলার ‘ডেজিগনেটেড ক্যাম্প’ থেকে আত্মসমর্পণকারী ৪ জন জঙ্গিকে করিমগঞ্জে নিয়ে আসেন।

পুলিশ সুত্রে খবর, পাহাড়ি এলাকায় কী ভাবে জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকে তা নিয়ে মেদলিছড়ায় প্রশিক্ষণ দেবে ওই প্রাক্তন ডিএইচডি, এনএসসিএনের জঙ্গিরা। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার নিজে ওই দলটিকে মেদলিছড়ায় পৌঁছে দেবেন। সপ্তাহখানেক ধরে চলবে ওই প্রশিক্ষণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement