এনআরসি ইস্যুতে শুক্রবারের বরাক বনধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে আজ শিলচর শহরে মিছিল বের করে নাগরিকত্ব সুরক্ষা সংগ্রাম কমিটি। ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে জমায়েত হয়ে মিছিল শহরের প্রধান প্রধান পথে রাঙ্গিরখাড়ি গিয়ে ঘুরে আসে। কমিটির দুই আহ্বায়ক প্রদীপকুমার দেব, শশাঙ্কশেখর পাল, প্রবীণ ভাষাসেনানী পরিতোষ পালচৌধুরী, রণধীর চক্রবর্তী, হরিদাস দত্ত, সাধন পুরকায়স্থ, শুভদীপ দত্ত, মৃণালকান্তি সোম, বিশ্বপতি দাস মিছিলে নেতৃত্ব দেন। তাঁদের প্রধান দাবি, সারা দেশের সঙ্গে এক নিয়মে এনআরসি করতে হবে অসমে। এ ছাড়া, শরণার্থী, ডাউটফুল ভোটার সমস্যার সমাধান করে এনআরসি সংশোধন করা হোক। না হলে রাজ্যের ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ লোক ভাসমান নাগরিকে পরিণত হবেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, শুক্রবার বনধ চলবে ভোট পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত। অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে সংস্কৃত বোর্ডের পরীক্ষাকে ছাড় দেওয়া হবে। অ্যাডমিট কার্ড দেখালেই পরীক্ষার্থীদের গাড়ি ছেড়ে দিতে প্রদীপবাবু বন্ধ সমর্থকদের বলে দিয়েছেন। বনধের দিন যেন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সে দিকে নজর রাখতেও তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। এসইউসিআই (সি), এআইইউডিএসও, সারা ভারত কৃষক ও খেত মজুর সংগঠন, কাছাড় জিলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন,
নেতাজি ছাত্র-যুব সংস্থা সহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বনধকে সমর্থন জানানো হয়েছে। এসইউসিআই(সি)-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এনআরসি প্রক্রিয়ার জটিলতায় এ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ ভারতীয় নাগরিক চরম হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। সারা ভারত কৃষক ও খেত মজুর সংগঠনের মন্তব্য, এই প্রক্রিয়ার জটিলতায় রাজ্যের লক্ষ লক্ষ দরিদ্র জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শ্রমিক ইউনিয়নের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ ভারতীয় নাগরিককে বিদেশি বানানোর চক্রান্ত চলছে।
ব্যবসায়ীকে মুক্তির দাবি। ২০১৩ সাল থেকে মায়নমারের জেলে বন্দি এক গ্রামপ্রধানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মায়ানমার সরকারকে আর্জি জানাল মণিপুর সরকার। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ৫৫ বছরের উইনসন কামোডাংকে মায়ানমার বাহিনী উখরুল জেলার সীমান্ত গ্রাম ওংসিয়াং থেকে ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর গ্রেফতার করে। মায়ানমার সেনা তাঁর বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ তোলে। উখরুলের বিধায়ক স্যামুয়েল রাইসম প্রসঙ্গটি বিধানসভায় উত্থাপন করেন।