অশান্তির মধ্যেই ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল গণবিধ্বংসী অস্ত্র সংক্রান্ত বিল। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যেই রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে গেল গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও তার বণ্টন ব্যবস্থা সংশোধনী বিলটি। লোকসভার পর এ বার রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিলটি পাশ হওয়ার ফলে আগামী দিনে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি ও সন্ত্রাসবাদে পুঁজি জোগানোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির আর্থিক লেনদেন বন্ধ করা ছাড়াও অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার পাবে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের যুক্তি, নয়া বিল পাশ হওয়ায় এক দিকে যেমন ভারতের সুরক্ষার দিকটি শক্তিশালী হল, তেমনই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহারের বিরুদ্ধে দিল্লির অবস্থানও মজবুত হল। ২০০৫ সালে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সংক্রান্ত যে বিলটি ইউপিএ সরকারের জমানায় সংসদে পাশ করা হয়েছিল, তাতে ওই ধরণের অস্ত্র নির্মাণ এবং সরবরাহে মদত জোগানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আর্থির ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের কাছে সরাসরি কোনও রাস্তা ছিল না।
নয়া সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, যাঁরা গণবিধ্বংসী অস্ত্র সংক্রান্ত বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, সরকারের কাছে তাঁদের সম্পত্তি আটক, আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া ছাড়াও সম্পত্তি বাজেপাপ্ত করার অধিকার থাকবে। এমনকি, অভিযুক্তের যৌথ বা বেনামি সম্পত্তি আটক ও বাজেয়াপ্ত করার অধিকারও থাকবে সরকারের। সোমবার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, জঙ্গি সংগঠনগুলিকে জৈব, তেজস্ক্রিয় বা রাসায়নিক গণবিধ্বংসী অস্ত্র বানানোর জন্য মদত দেওয়া রুখতেই নয়া সংশোধনী আনা হয়েছে। গত এপ্রিলে লোকসভায় এই সংশোধনী বিল পাশ হয়েছিল।