ফাইল চিত্র।
আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর জয় সুনিশ্চিত করতে বিহারের বিজেপি কর্মীদের এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়ার আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর দিল্লিতে তৃতীয় বারের জন্য মোদী সরকার গঠনে বিজেপি যে দলিত, জনজাতি, আদিবাসী ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেছে তা-ও খোলাখুলি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের কাছে কর্মীদের পৌঁছনোর নির্দেশই দিয়েছেন শাহ।
পটনায় দু’দিনব্যাপী বিজেপির সাতটি শাখা সংগঠনের (মোর্চা) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শাহ। সূত্রের খবর, সেখানে তিনি সরাসরি বলেছেন তৃতীয় বারের জন্য কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে হবে। সেই জন্য এখন থেকেই কর্মীদের কাজে নামার নির্দেশ দেন তিনি। বিশেষ করে বুথ স্তরে সংগঠনকে মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘অমিত শাহজি সম্মেলনে বলেছেন, ২০২৪ সালের ভোটে মোদীকে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনতে হবে। আরও বেশি আসনে জয়লাভের জন্য এখন থেকেই কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন তিনি।’’ অরুণ জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্মী সম্মেলনে পরামর্শ দেন, মোদী সরকার কী ভাবে দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া সমাজের জন্য কাজ করছে, তা-ও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। সে জন্য বুথ স্তরের সংগঠন জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বিজেপি সাধারণ ভাবে উচ্চবর্ণের দল হিসেবেই পরিচিত। দলিত, পিছিয়ে পড়া অংশের মধ্যে এখনও তেমন ভাবে বিজেপি গ্রহণযোগ্য নয়। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, দু’বার সরকারে থাকার ফলে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়ার মোকাবিলা করতে হবে তাঁদের। তাই আসন সংখ্যা কমার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। তাই ভোট-ঘাটতি মেটাতে দলিত, পিছিয়ে পড়া, আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতে চাইছেন মোদী-শাহেরা। সেই সূত্রেই দ্রৌপদী মুর্মুকে জিতিয়ে আনা হয়েছে।
কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডাও। রাজ্যে বিজেপির কয়েকটি জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, “একটি অফিস সকাল ১০টায় খোলে এবং বিকাল ৫টায় বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু একটি ‘কার্যালয়’ আমাদের আদর্শের একটি মূর্ত প্রতীক। তাই কার্যালয়কে অফিস বলা উচিত নয়।’’ সংবাদ সংস্থা