নিহত পুলিশকর্মীদের স্মরণে। জম্মুর গুলশন ময়দানে। ছবি: পিটিআই।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গোলাবর্ষণের পরের দিন পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জঙ্গিদের মূলস্রোতে ফেরার ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল। অন্য দিকে গত কাল রাতে কাশ্মীরের মেন্ধার সেক্টরে পাক হামলায় আহত হয়েছেন চার সেনা। আজও পুঞ্চের দু’টি সেক্টরে মর্টার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
আজ পূর্ব লাদাখে একটি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেখানে গোলাবর্ষণ প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘‘আমরা কখনও প্রথম গুলি ছুড়িনি। কিন্তু প্রতিবেশী পাকিস্তান জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়ে ভারতের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা করছে। এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।’’ প্রায় একই সুরে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেন, ‘‘যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। কিন্তু পাকিস্তান তাদের মনোভাব না-বদলালে, গত কাল যে পদক্ষেপ করা হয়েছে তা ফের করা হতে পারে। প্রয়োজনে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি শিবির ধ্বংস করবে ভারতীয় বাহিনী।’’ সেইসঙ্গে জঙ্গিদেরও বার্তা দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘কাশ্মীরের যে সব যুবকেরা মূলস্রোতের বাইরে রয়েছেন, তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা কী পেয়েছেন?’’ ৩১ অক্টোবর আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ।
রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘‘১ নভেম্বর থেকে এক নতুন কাশ্মীরের পথচলা শুরু হবে। ওই যুবকদের প্রতি আমার অনুরোধ, এই কাশ্মীরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করুন।’’
যে তংধার সেক্টরে পাক হামলার জবাবে গত কাল গোলাবর্ষণ করেছে ভারত, সেখানে আজ পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। নতুন সংঘর্ষেরও খবর নেই। সেনা জানিয়েছে, গত কাল রাতে মেন্ধার সেক্টরে মর্টার হামলা চালায় পাকিস্তান। তাতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই মোতায়েন ভারতীয় সেনার একটি দলের চার সদস্য আহত হন। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। এ দিনও পুঞ্চের কসবা ও কিরনি সেক্টরে ফের মর্টার ছুড়েছে পাক বাহিনী। জবাব দিয়েছে ভারতীয় বাহিনীও। হতাহতের কোনও খবর নেই।