ফাইল চিত্র।
গত এক মাস ধরে বিভিন্ন মঞ্চে চিনকে কড়া বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে। সম্প্রতি তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কেউ আঘাত করলে ভারত কাউকে রেয়াত করবে না।’
আজ কিন্তু ঘর গোছানোর বার্তা দিতে দেখা গেল রাজনাথকে। ইঙ্গিত স্পষ্ট। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা সেনার পিছনে সরে যাওয়ার আশা আপাতত করছে না সাউথ ব্লক। সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ কত দ্রুত করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে আজ বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনকে (বিআরও) নির্দেশ দিয়েছেন রাজনাথ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি চিন যে ভাবে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করেছে সেই প্রসঙ্গেই এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বিআরও-র অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “পাহাড়ি এলাকায় নির্মাণ কাজে চিনের দক্ষতা থাকায় তারা খুব দ্রুত এলাকাগুলিতে পৌঁছতে পারছে। বিআরওকেও সমান্তরাল ভাবে এই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা পরখ করে দেখতে হবে।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় উন্নয়ন ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাঁর কথায়, “আমাদের সুরক্ষার জন্য যাঁরা নিরন্তর কাজ করছেন, তাঁদের সবরকমের সুযোগ সুবিধা দেওয়া আমাদের অগ্রাধিকার।’’ রাজনাথের বক্তব্য, শুধু সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, সামগ্রিক ভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটনের প্রসারের জন্যও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় পরিকাঠামোর উন্নতি দরকার। হিমালয়ের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও বিআরও এই কাজ করে চলেছে।