প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী হত্যা কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত তিন জনের ফাঁসি হবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন জনের ফাঁসির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অন্তিম আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র। বুধবার সেই আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত তিন জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছে।
গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিন রাজীব-ঘাতক সন্থন, মুরুগন এবং পেরারিভালনের ফাঁসির সাজা খারিজ করে যাবজ্জীবন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাদের প্রাণভিক্ষার আর্জি নিয়ে দেরি হওয়ার কারণেই শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যই অন্তিম আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র।
এ দিনই মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। সেই দিনই তিন রাজীব-ঘাতকের মৃত্যুদণ্ডের আর্জি ফের খারিজ হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে একটি জনসভায় এলটিটিই-র আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৯৯ সালে সন্থন, মুরুগন, মুরুগনের স্ত্রী নলিনী এবং পেরারিভালনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় শীর্ষ আদালত। পরে নলিনীর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। ২০০০ সালে সন্থন, মুরুগন এবং পেরারিভালন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়।
২০১১ সালে তাদের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল। এর বিরোধিতা করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তিন জন। মৃত্যুদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রাণভিক্ষার আর্জি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ার কারণে তিন জনের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে যাবজ্জীবন দেয় সুপ্রিম কোর্ট।