অর্থনীতি নিয়ে শিল্পপতি রাজীব বাজাজের মতামত জানলেন রাহূল গাঁধী। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
লকডাউনের ফলে দেশে করোনা সংক্রমণের হার না কমুক, ভারতের অর্থনীতি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। নিম্নগামী হয়েছে জিডিপি বৃদ্ধির হার।
লকডাউনের ‘ব্যর্থতা’র দিকে আঙুল তুলে এই অভিযোগ করলেন এ বার শিল্পপতি রাজীব বাজাজ। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে। লকডাউনের সময় ও তার পরবর্তী সময়ের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে রাহুল এর আগে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আলোচনা করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
রাহুলকে রাজীব জানিয়েছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর ভাবে লকডাউন করা যায়নি। তার ফাঁকফোকড় ছিল। তাই লকডাউনের জন্য দেশে সংক্রমণের হার কমানো গিয়েছে বলে সরকারের তরফে যে দাবি করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। তবে লকডাউনের ফলে যদি কিছু নিম্নমুখী হয়ে থাকে, তা হলে সেটা অর্থনীতি। জিডিপি বৃদ্ধির হার।
আরও পড়ুন- ‘আমার বাবা তো দুনিয়াই বদলে দিল!’ || মেয়েটা বড় হয়ে গেল আট দিনে
আরও পড়ুন- নেপাল নিয়ে নীতি কী হবে, দিশাহারা নয়াদিল্লি
‘বাজাজ অটো’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বাজাজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের সময় রাহুলকে বলেছেন, ‘‘আমরা কঠোর ভাবে লকডাউন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার ফাঁকফোকড় থেকে গিয়েছে। লকডাউনে ফাঁকফোকড় থাকায় কোভিড-১৯ ভাইরাস গোষ্ঠীর মধ্যে থেকে গিয়েছে। লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেই তা আবার মাথাচাড়া দেবে। তাই বলা যায়, সমস্যাটা আমরা মেটাতে পারিনি। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই আমরা দেশের অর্থনীতিকে টেনে নীচে নামাতে পেরেছি। সংক্রমণের হার নামাতে গিয়ে ভুল করে আমরা জিডিপি বৃদ্ধির হারকেই নামিয়ে ফেলেছি।’’
শিল্পপতি বাজাজের মতে, যাকে আক্ষরিক অর্থে লকডাউন বলে, বিশ্বের কোনও দেশেই সেটা হয়নি।
তবে রাজীবের কাছে যেটা তার চেয়েও বেশি উদ্বেগের, তা হল, আনলকডাউন কী ভাবে হবে, সে ব্যাপারেও বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। রাহুলকে রাজীব বলেছেন, ‘‘ধাপে ধাপে মসৃণ ভাবে সংগঠিত পথে আনলকডাউন করার দিকে এগোচ্ছি বলে আমার মনে হচ্ছে না। দীর্ঘ দিনের লকডাউনের পর মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।’’