আক্রান্তের এক আত্মীয় অভিযোগ করেন, ওই মহিলার জন্যই তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এর পরই ‘ডাইনি’ অপবাদে তাঁকে মারধর শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। প্রায় এক বছর ধরে এই অত্যাচার চলত। এমন কী তাঁদের গ্রাম ছেড়ে যেতে বলা হয়।
প্রতীকী ছবি
‘ডাইনি’ অপবাদে এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা ওই মহিলাকে মারধর করেন তাঁর জা, দেওর এবং তাঁদের ছেলেরা। স্বামীকে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁদের অভিযোগ না নিয়ে মহিলাকে হাসপাতালে ছেড়ে দিয়ে আসে। মারধরে আহত ওই মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আক্রান্তের এক আত্মীয় অভিযোগ করেন, ওই মহিলার জন্যই তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এর পরই ‘ডাইনি’ অপবাদে তাঁকে মারধর শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। প্রায় এক বছর ধরে এই অত্যাচার চলত। এমন কী তাঁদের গ্রাম ছেড়ে যেতে বলা হয়। শনিবারও তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আক্রান্তের অভিযোগ, স্বামীকে নিয়ে থানায় গেলে তাঁদের অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। আক্রান্ত মহিলা ও তাঁর স্বামীকে স্থানীয় মহাত্মা গান্ধী জেলা হাসপাতাল চত্বরে ছেড়ে দিয়ে আসে।
এর পর হাসপাতাল চত্বরে ‘সখী সেন্টারে’ গিয়ে অভিযোগ জানান আক্রান্ত মহিলা। নির্যাতিতা মহিলাদের সহায়তার জন্য তৈরি এই ‘সখী সেন্টার’ থেকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সখী সেন্টারের আধিকারিক সুশীলা শর্মা বলেন, ‘‘ওই মহিলাকে ডাইনি বলে হেনস্থা ও মারধর করা হত। এক বছর ধরে আত্মীয়রা তাঁকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে অত্যাচার করতেন। এমনকী তাঁকে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হত। আমরা বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।’’