ছবি: প্রতীকী
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। সন্তানকে তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সন্তানকে ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তরুণী। তাঁর আবেদন মেনে ৯ মাসের সন্তানকে তাঁর হেফাজতেই দিল রাজস্থান হাই কোর্ট। পাশাপাশি, শিশু কল্যাণ কমিটির প্রাক্তন এক সদস্যকে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বিচারপতি রাজেন্দ্রপ্রকাশ সোনি এবং বিচারপতি অরুণ বনশালির বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই সদস্য বেআইনি ভাবে তরুণীর শিশুকে দত্তক দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনকে।
আবেদনকারী তরুণীর জন্ম ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। জানা গিয়েছে, ওই তরুণী ১৭ বছর বয়সে এক তরুণের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১৮ অগস্ট এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তখন সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা। তিনি অভিযোগ করেছেন, জন্ম দেওয়ার পরেই তাঁর শিশুকন্যাকে তাঁর থেকে কেড়ে নিয়েছেন নাবালিকার বাবা। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর আবার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন তিনি। তার পরেই সেই শিশুটিকেই ফেরত চেয়ে মামলা করেন তিনি। আদালতে এও জানান, শিশুটি কোথায় রয়েছে, তা তিনি জানেন না।
২০২৩ সালের মে মাসে শিশুটিকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। পরে আদালতকে জানানো হয়, শিশুটিকে ৬ দিন বয়সে তরুণীর বাবা শিশু কল্যাণ কমিটির এক প্রাক্তন সদস্যের কাছে দিয়ে দেন। ওই ব্যক্তি শিশুটিকে এক মহিলাকে দত্তক দেন। সেই মহিলা আদালতে এসে দত্তক নেওয়ার কথা জানান। এর পরেই শিশু কল্যাণ কমিটির প্রাক্তন সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পাশাপাশি মায়ের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলে। জানায়, গত ৮ মাস তিনি শিশুটির খোঁজ করেননি কেন।