National News

১৩ বছরের মেয়েকে সাত লাখে বিক্রি বাবার! উদ্ধার নাবালিকা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা

বারমেঢ়ের সিওয়ান থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত ওই কিশোরীর কাকার তৎপরতাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি। —শৌভিক দে

নাবালিকা মেয়েকে সাত লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন বাবা! ফেঁদেছিলেন অপহরণের নাটকও। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মাস পাঁচেক পর সেই মেয়েই যখন উদ্ধার হল, তখন ১৩ বছরের কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রাজস্থানের বারমেঢ় জেলার এই ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় নানা মহলে। ঘটনায় কিশোরীর বাবা, ক্রেতা সানওয়ালা রাম দাসপা ও দালাল গোপা রাম মালিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হায়দরাবাদে ওই কিশোরীকে উদ্ধারের সময় গ্রেফতার হয়েছে সানওয়ালার ছেলে। তরুণীকে তার মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

বারমেঢ়ের সিওয়ান থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত ওই কিশোরীর কাকার তৎপরতাতেই ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কারণ তিনিই প্রথম সন্দেহ করে থানায় এফআইআর দায়ের করেন। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই কিশোরীর বাবা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও কিশোরীকে পুলিশ খুঁজে না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন কিশোরীর কাকা। আদালতের নির্দেশেই শেষ পর্যন্ত কিশোরীকে উদ্ধারে তৎপর হয় পুলিশ।

ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন স্থানীয় গোপা রাম মালি নামে এক ব্যক্তি কিশোরীর বাবার কাছে সম্ভ্রান্ত পরিবারে কিশোরীর বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। গোপার কথামতোই ওই পরিবারে সম্বন্ধ পাকা করতে মেয়েকে নিয়ে সিওয়ানে যান কিশোরীর বাবা। কিন্তু তিনি ফিরে আসেন একাই। তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন, মেয়েকে মামার বাড়িতে রেখে এসেছেন। এর পর ২৬ জুন কিশোরীর পরিবারের লোকজন সিওয়ানে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ে মামার বাড়িতে নেই। তখন বাবাকে চেপে ধরলে তিনি বলেন, রাস্তায় মেয়েকে অপহরণ করেছে দুষ্কৃতীরা। তার পরেই ওই কিশোরীর কাকা থানায় এফআইআর দায়ের করেন।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ কিশোরীর বাবা এবং গোপাকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও পুলিশ কার্যত কিশোরীর কোনও হদিশ পায়নি। এর পর কিশোরীর কাকা আদালতে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ মামলা করেন। হেবিয়াস কর্পাসের অর্থ, বেআইনি ভাবে আটকে বা বন্দি করে রাখলে আদালতে সেই ঘটনা সম্পর্কে অবগত করা যায়। এই মামলা দায়েরের পরেই তদন্তে গতি আসে এবং হায়দরাবাদ থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: জেএনইউ: হস্টেল ফি বৃদ্ধি ৩০ থেকে কমে ১০ গুণ, প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় পড়ুয়ারা

আরও পড়ুন: বাইরে নয়, ৬৭ একরের মধ্যেই মসজিদের জন্য জমি চায় মুসলিম পক্ষ

সিওয়ান থানার স্টেশন হাউস অফিসার দাউদ খান বলেন, ‘‘দুই অভিযুক্তের সঙ্গে কিশোরীকে হায়দরাবাদ থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। তাকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর তাকে আমরা আদালতে পেশ করব।’’ কিশোরী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানিয়েছেন দাউদ খান। জিজ্ঞাসাবাদে সাত লাখ টাকায় সানওয়ালার কাছে মেয়েকে বিক্রির কথা বাবা স্বীকার করেছেন বলেও দাবি পুলিশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement