—ফাইল চিত্র।
সচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামীদের নোটিস পাঠানোর আগে একেবারেই মাথা খাটাননি স্পিকার। রাজস্থান হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তাঁর বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে একেবারেই মাথা খাটাননি স্পিকার। সাত তাড়াতাড়ি নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কী কারণে নোটিস, তা-ও ব্যাখ্যা করেননি।
দলবিরোধী কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগে সচিন পাইলট এবং তাঁর ১৮ জন অনুগামীর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি উঠেছে কংগ্রেসে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের নোটিস ধরান বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশী। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই আদালতে গিয়েছেন সচিনরা। মঙ্গলবার তার শুনানি চলাকালীনই এমন মন্তব্য করেন সচিনের আইনজীবী মুকুল রোহতগি।
এ দিন আদালতে মুকুল রোহতগি বলেন, ‘‘যে দিন অভিযোগ জমা পড়ল, সে দিনই নোটিস ধরালেন স্পিকার। তার জবাব দিতে মহামারি পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিন সময় দিলেন বিধায়কদের। কী কারণে নোটিস তার ব্যাখ্যা নেই কোথাও। বরং অভিযোগ যা যা বলা হয়েছে, হুবহু তা-ই টোকা হয়েছে নোটিসে। এতেই বোঝা যায়, বিধায়কদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। নোটিস ধরানোর আগে তাই ভাবনা চিন্তা ভাবনা করা হয়নি।’’
আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়াবাড়ি, আগামী বছরই সাবমেরিন ধ্বংসকারী বিমান হাতে পাচ্ছে ভারত
আরও পড়ুন: ‘আমাদের সরকার থাকলে সারা জীবন ফ্রি-তে রেশন পাবেন’
ভিন্নমত পোষণ করা দলবিরোধী কাজের আওতায় পড়ে কি না, এ নিয়ে গতকালই রাজস্থান স্পিকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির সঙ্গে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন মুকুল রোহতগি। স্পিকার কোনও পদক্ষেপ করার আগে বিদ্রোহী বিধায়করা আদালতে যেতে পারেন না বলে সেইসময় যুক্তি দেন সিঙ্ঘভি। কিন্তু বিধানসভার অধিবেশনের বাইরে দলের কোনও বৈঠকে যোগ না দেওয়া নিয়ে হুইপ জারি করা যায় না বলে আদালত জানিয়ে দেয়।