যমুনার জলে প্লাবিত দিল্লিতে শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লিতে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। ইতিমধ্যেই দেশের রাজধানী শহরটিতে অত্যধিক বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যমুনা নদীর জল ছাড়িয়ে গিয়েছে বিপদসীমা। তার মাঝে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস কোনও আশার কথা শোনাতে পারল না। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলেও বৃজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে দিল্লির একাধিক এলাকায়। ফলে আরও বাড়তে পারে জলস্তর।
বৃষ্টিতে যমুনার জল বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে দিল্লির বহু এলাকা জলমগ্ন। কোথাও কোমর পর্যন্ত, কোথাও বুক পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। জমা জলের পরিমাণ ক্রমে বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার নদীতে জল বেড়ে ২০৮.৪৮ মিটার হয়েছে, যা গত ৪৫ বছরের নজির ভেঙে দিয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন, বিকেলের মধ্যে জলস্তর আরও বাড়বে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ যমুনার জল সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আরও বৃষ্টি বাসিন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে।
দিল্লির হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। যমুনার জল বাড়তে থাকায় ওয়াজ়িরাবাদ, চন্দ্রওয়াল এবং ওখলা জল পরিশোধনাগার কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজধানী পানীয় জলের সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাসস্থানের এলাকাতেও জল ঢুকে পড়েছে। শহরের নানা প্রান্তে দুর্যোগকবলিতদের উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
বন্যা পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে কোনও ভারী বা গুরুত্বপূর্ণ পণ্য বহনকারী গাড়ি দিল্লিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। দিল্লির চার দিকের সীমান্তেই এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হয়েছে।
শহরে জলস্তর বাড়তে থাকায় স্কুল, কলেজ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে ত্রস্ত নিচু এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে টুইট করে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।