প্রতীকী ছবি।
বছরখানেক আগে রেলে অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকদের একাংশকে পুনর্বহাল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এ বার চালকের ঘাটতি মেটাতে ইয়ার্ডে শান্টিং করার কাজে অবসরপ্রাপ্ত লোকোচালকদের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিল রেল বোর্ড।
পুনর্নিযুক্ত চালকেরা অবশ্য প্রধান লাইনে মালগাড়ি বা যাত্রিবাহী ট্রেন চালাবেন না বলে রেল বোর্ডের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত লোকোচালকদের মধ্যে যাঁরা সুস্থ থাকবেন, তাঁদের পুনর্বহাল করা যাবে। তাঁদের কাজ হবে ট্রেন যাত্রার শেষে অথবা শুরুতে ইয়ার্ডের মধ্যে রেল ইঞ্জিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া। সুস্থ থাকলে ৬৫ বছর পর্যন্ত কাজ চালাতে পারবেন তাঁরা। পেনশন বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে তাঁদের। স্থায়ী কর্মীদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন না তাঁরা।
রেলের খবর, দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় রেলে অভিজ্ঞ চালকের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বহাল করার ব্যবস্থা হচ্ছে। রেলকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, অভিজ্ঞ চালক তৈরির প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। যাত্রী-ট্রেন চালানোর জন্য এক জন চালককে প্রস্তুত করতে ৬-৭ বছর লেগে যায়। বছরখানেক আগে প্রায় ২৭ হাজার অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকোপাইলট বা সহকারী চালকের পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়োগ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে ওই চালকদের পুরোপুরি ট্রেন চালানোর কাজে পেতে আরও কয়েক বছর লাগবে। তত দিন নিয়মিত চালকের সংখ্যায় যাতে নতুন করে টান না-পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই পুনর্নিযুক্তির ব্যবস্থা।
এই পরিস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষকেই দুষছেন রেলকর্মী ইউনিয়নের নেতারা। সময়মতো নিয়োগ না-হওয়ায় রেলে সুরক্ষা সংক্রান্ত বহু পদ খালি। বহু চালক-পদ শূন্য। ‘‘নীতিগত ভাবে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বহাল করা উচিত নয়। এতে নতুনদের কাজের সুযোগ নষ্ট হয়। সময়মতো পর্যাপ্ত চালক নিয়োগ না-করায় সার্বিক ব্যবস্থার উপরে তার প্রভাব পড়ছে,’’ বলছেন ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের নেতা সূর্যেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।