প্রতীকী ছবি।
দেশের যে কোনও স্টেশনে জঙ্গি হামলার মোকাবিলা করতে রেল পুলিশ প্রস্তুত বলে দাবি করলেন বাহিনীর ডিজি অরুণ কুমার। জানালেন, বড় স্টেশনগুলিতে জঙ্গি হামলা রুখতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, জলপথে হামলা চালাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী। যার ভিত্তিতে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে নৌ-ঘাঁটিগুলিতে। এ বার গোয়েন্দাদের বলার আগেই, জইশ চিঠি দিয়ে জানাল, ভারতের বিভিন্ন রেল স্টেশনে হামলার ছক কষেছে তারা। গত ১৪ অগস্ট একটি চিঠি পান হরিয়ানার রোহতকের স্টেশন মাস্টার। কোটা, রোহতক, জয়পুর, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি রয়েছে তাতে। বলা হয়েছে, কাশ্মীরে তাদের সঙ্গী জেহাদিদের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই ভারতের মূল ভূখণ্ডে বিজয়া দশমীর দিন হামলা চালানো হবে। জম্মু-কাশ্মীরে জইশের ভারপ্রাপ্ত এরিয়া কমান্ডার বলে দাবি করে মাসুদ আহমেদ নামে কেউ চিঠিটি পাঠিয়েছে।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, করাচি থেকে চিঠিটি ভারতে পৌঁছেছে। তবে এ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া নিয়ে রীতিমতো ধন্দে গোয়েন্দারা। কারণ, কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীই আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে হামলা করার পথে হাঁটে না। যে হেতু উৎসবের মরসুমে জঙ্গি হানার আশঙ্কা থাকে আর দেওয়ালির পরেই হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট, তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র। রেলের প্রতিটি জ়োনকে চিঠির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে স্টেশন, রেল পরিকাঠামো ও চলন্ত ট্রেনের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেল পুলিশের ডিজি বলেন, ‘‘উৎসবের মাসে বাড়তি সতর্কতা থাকে। আর স্টেশনগুলিতে হামলা আটকাতে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে চলার জন্য রেল পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’’