২০২১-২২ সালে রেলে সফরের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফাইল চিত্র।
দূরপাল্লার ট্রেন চললেও নিশ্চিত টিকিট মিলছে না বলে সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ তো ছিলই। এ বার রেলের অন্দর থেকেও বেরিয়ে এসেছে একই তথ্য! মধ্যপ্রদেশের সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর গৌড় তথ্যের অধিকার আইনে একটি আবেদন করেছিলেন রেলের কাছে। তাতে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসন নিশ্চিত হওয়ায় দূরপাল্লার ট্রেনে চাপার সুযোগ পেয়েছেন ৩২ লক্ষ ৫০ হাজার ৩৯ জন। কিন্তু টিকিট কেটেও নিশ্চিত আসন পাননি অন্তত ৫৩ লক্ষ যাত্রী! অর্থাৎ প্রাপ্তির তুলনায় অপ্রাপ্তির মাত্রা দেড় গুণের বেশি! আমজনতার অভিজ্ঞতা, টিকিটের আকাল লেগেই রয়েছে। সুরাহার দেখা নেই।
কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত দু’মাসে দেশে ৯৬ শতাংশের বেশি ট্রেন সচল হয়েছে বলে জানাচ্ছে রেল। প্রশ্ন উঠছে, তার পরেও আসন সংরক্ষণে এমন হাল কেন? রেল সূত্রের বক্তব্য, ২০১৯-২০ সালে যখন ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল, সেই সময় বছরে গড়ে সওয়া কোটি যাত্রী আসন নিশ্চিত না-হওয়ার কারণে সফরের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতেন। ২০২১-২২ সালে রেলে সফরের প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
রেলকর্তাদের ব্যাখ্যা, পর্যটনের মরসুম শুরু হওয়ায় সাধারণত অক্টোবর থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ট্রেনে চার কোটি ৪০ লক্ষ যাত্রী সফর করেন। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যাত্রী-সংখ্যা পৌঁছেছে
সাত কোটিতে।
চাহিদা দেখে রেলকর্তারাও মনে করছেন, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। কোন কোন রুটে চাহিদা বেশি, তা যাচাই করে ট্রেন বাড়ানো হবে। নতুন ট্রেন দিতে না-পারলেও গত বছর থেকে ‘ক্লোন ট্রেন’ চালাচ্ছে রেল। অর্থাৎ একই রুটে একই নামের দু’টি আলাদা ট্রেন চলবে। ক্লোন ট্রেনটি মূল ট্রেনের আগে বা পিছনে যাবে। এর পাশাপাশি রেলকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে ট্রেনের গতিবেগ বাড়ানোর উপরেও নজর দিতে বলছেন। সেই তাগিদ থেকে দিল্লি-মুম্বই, দিল্লি-কলকাতার মতো রুটগুলিতে ট্রেনের গতিবেগ বাড়ানোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে রেল।