বারামুলা-বানিহাল রুটের সেই ট্রেন। ছবি: এক্স।
শীতের মরসুমের অর্ধেকেরও বেশি সময় ‘শুখা’ কেটে গিয়েছে। তুষারপাতের দেখা মেলেনি। হতাশ হয়েছেন পর্যটকরাও। কিন্তু এ বার সেই ‘খরা’ কেটে গিয়ে মঙ্গলবার থেকে ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে। শীতের মরসুমে যে দৃশ্য উবে গিয়েছিল, আবার তা ফিরে আসায় পর্যটকরা স্বাভাবিক ভাবেই খুশি। ভূস্বর্গের নৈসর্গিক রূপ তুলে ধরলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।
নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রেলমন্ত্রী। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তুষারপাতের কারণে চারপাশ সাদা হয়ে রয়েছে। এমনকি গাছপালাগুলিও বরফে ঢাকা পড়েছে। পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়েছে রেললাইনও। সেই সেই বরফ চিরে ছুটে আসছে লাল-নীল রঙা একটি ট্রেন। ভিডিয়োটি কাশ্মীর উপত্যকার বারামুলা-বানিহাল বিভাগের। সেটি পোস্ট করে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “কাশ্মীরের তুষারপাত।”
কাশ্মীরের রাস্তাঘাট যখন পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়ে যায়, যখন বারামুলা-বানিহাল রুটের ট্রেনই একমাত্র যাতায়াতের ভরসা হয়ে ওঠে সেখানকার বাসিন্দাদের। শ্রীনগর এবং সমতলেও তুষারপাত হয়েছে। বুধবার রাত থেকে তুষারপাতের পরিমাণ বেড়েছে কোনও কোনও জায়গায়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত টানা তুষারপাত হয়েছে। ভারী তুষারপাতের কারণে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, মুঘল রোড, শ্রীনগর-লেহ হাইওয়েও তুষারপাতের কারণে স্তব্ধ।