মানালিতে ভারী তুষারপাত। ছবি: পিটিআই।
শীতের মরসুমের অর্ধেকেরও বেশি কেটে গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের কুলু, মানালি, অন্য দিকে উত্তরাখণ্ডের অওলি, জম্মু-কাশ্মীরের গুলমার্গ, সোনমার্গে তুষারপাতের দেখা মেলেনি। যে তুষারপাতের টানে এ সব শৈলশহরে পর্যটকরা বার বার ছুটে যান, এ বার হিমাচল, উত্তরাখণ্ড এমনকি ভূস্বর্গও তাঁদের হতাশ করেছে। জানুয়ারি শেষের দিন থেকে এ সব জায়গায় আচমকাই আবহাওয়ার রূপ বদলে গিয়েছে।
দু’দিন আগে থেকেই তুষারপাত শুরু হয় হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্যগুলিতে। বুধবার থেকে তুষারপাতের পরিমাণ আরও বেড়েছে। হিমাচল প্রদেশের মানালিতে ভারী তুষারপাতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাজ্য আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মানালিতে এক ফুটের মতো তুষারপাত হয়েছে। লেহ-মানালি হাইওয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তুষারপাতের জেরে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার তুষারপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কুলুতে স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। হিমাচলের চিড়গাঁওতে সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে। আড়াই ফুট বরফের নীচে চলে গিয়েছে চিড়গাঁও। অন্য দিকে, মানালির কোঠিতেও দেড় ফুটের মতো তুষারপাত হয়েছে। এ ছাড়াও সোলাংনালায় দু’ফুট এবং অটল টানেলের আশপাশে তিন ফুটের মতো তুষারপাত হয়েছে।
এক দিকে ভারী তুষারপাত, অন্য দিকে বিদ্যুৎ এবং জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম ভোগান্তির মুখে মানালির বাসিন্দারা। মানালিতে রাস্তার উপর বরফের মোটা চাদর থাকার কারণে গাড়ি নিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। শুধু মানালিই নয়, লাহুল, স্পিতি, চম্বা, মান্ডি, কিন্নৌর, সিরমৌর এবং শিমলাতেও তুষারপাত হচ্ছে। আবার ধর্মশালা, সোলান এবং নাহনে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে।