বেঙ্গালুরুতে বন্দে ভারত স্লিপার কামরার কাজ পরিদর্শন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ছবি: সমাজমাধ্যম।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে স্লিপার কামরার সুবিধা কবে থেকে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই চর্চা চলছে। সেই চর্চা, গুঞ্জনের মাঝেই রবিবার সকালে বেঙ্গালুরুতে বন্দে ভারত স্লিপার কামরার কাজ পরিদর্শন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সঙ্গে ছিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী ভি সোমান্নাও। ইতিমধ্যেই স্লিপার কামরাযুক্ত বন্দে ভারতের একটি নমুনা বা প্রতিরূপ তৈরি হয়েছে। সেটিতে কী কী সুযোগ সুবিধা থাকছে, তা রবিবার খতিয়ে দেখেন রেলমন্ত্রী। পরে অশ্বিনী জানান, আগামী দশ দিন সব রকম ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে এটিকে। তার পর এটি রেল লাইনে নামিয়ে আরও পরখ করা হবে। রেলমন্ত্রী জানান, তিনি আশা করছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে বন্দে ভারত স্লিপারে যাত্রী পরিষেবা পাওয়া যাবে।
অশ্বিনী বলেন, “বন্দে ভারত চেয়ার কার কামরার পর, আমরা বন্দে ভারত স্লিপার কামরা নিয়ে কাজ করছি। স্লিপার কামরা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার থেকেই ট্রেনটির ট্রায়াল ও পরীক্ষা-নিরিক্ষা পর্ব শুরু হয়ে যাবে।” এই নমুনা ট্রেনের সঠিক ভাবে পরীক্ষা হয়ে গেলে, আরও স্লিপার কামরা বানানোর কাজ শুরু হবে। মন্ত্রী বলেছেন, “দেড় বছর পর থেকে বন্দে ভারত স্লিপারের প্রচুর কামরা আমরা বানাতে পারব। তখন হয়তো দেখা যাবে, প্রতি মাসে দু'তিনটি করে ট্রেন তৈরি হচ্ছে।” বন্দে ভারত স্লিপার কামরাগুলিতে বেশ কিছু নতুন সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রেলমন্ত্রীর মতে, ১৬ কামরার বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন এক রাতে ৮০০-১২০০ কিলোমিটার যাত্রাপথ অতিক্রম করতে পারবে। করোনাপর্ব থেকে শিক্ষা নিয়ে ট্রেনের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বন্দে ভারত স্লিপারে যাত্রার খরচ কেমন পড়বে, তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন অশ্বিনী। তিনি বলেন, “এই ট্রেন মধ্যবিত্তের জন্যই তৈরি। ভাড়া হবে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো।”
উল্লেখ্য, অতীতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বন্দে ভারতের খাবারের মান খারাপ, এমন অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। যদিও এ বিষয়ে প্রশ্নে রেলমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ভারতীয় রেল দিনে ১৩ লাখ প্লেট খাবার পরিবেশন করে। সেখানে অভিযোগ ০.০১ শতাংশেরও কম। তবে যে অভিযোগগুলি আসে, সেগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয় বলেই দাবি অশ্বিনীর।