Rahul Gandhi

লাদাখে অনড়ই চিন, সমালোচনা রাহুলের

গত জুনে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই লাদাখে উত্তপ্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। চারটি সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে গালওয়ান উপত্যকার কিছু জায়গা থেকে চিনা সেনা সরে যেতে রাজি হলেও, প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার চার থেকে আট পর্যন্ত দখল করা এলাকা থেকে সরার নাম করছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০৩:২৩
Share:

ফাইল চিত্র

গত কাল লাদাখ সফরের পরে আজ জম্মু-কাশ্মীরের কিরান সেক্টরে সীমান্ত পরিদর্শনে গেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, বেজিংকে কড়া বার্তা দিতেই দু'দিনের এই সফর। যদিও সরকারের ওই উদ্যোগকে অর্থহীন আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আজ বলেছেন, চিন-প্রশ্নে কেন্দ্রের কাপুরুষোচিত পদক্ষেপের মূল্য দিতে হবে দেশকে।

Advertisement

গত জুনে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই লাদাখে উত্তপ্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। চারটি সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের পরে গালওয়ান উপত্যকার কিছু জায়গা থেকে চিনা সেনা সরে যেতে রাজি হলেও, প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার চার থেকে আট পর্যন্ত দখল করা এলাকা থেকে সরার নাম করছে না। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ সেনা কমান্ডার বৈঠকের দু'দিনের মধ্যেই লাদাখ গিয়ে সেনা মহড়ায় অংশ নিলেন রাজনাথ। পরে তিনি জানান, আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু তা কতটা হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। গত কাল বিকেলে লাদাখ সফর শেষে শ্রীনগরে আসেন রাজনাথ। আজ যান কুপওয়ারা জেলার ফরোয়ার্ড পোস্টে। কথা বলেন জওয়ানদের সঙ্গে। পরে অমরনাথ গুহা দর্শনে যান তিনি।

চিনকে ‘বার্তা’ দিতে রাজনাথ সফর করলেও, চতুর্থ দফা বৈঠকের পরে এখনও ভারতের দাবি মেনে এক ইঞ্চি পিছু হটেনি চিনা সেনা। ফলে শুধু আলোচনায় কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন সেনানী ও কূটনীতিকরা। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদম্বরমের মতে, সরকারকে স্বীকার করতে হবে যে, চিন নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে এসেছে। তা না হলে আগেকার স্থিতাবস্থা কোনও দিনই আসবে না।

Advertisement

অন্য দিকে রাহুল টেনেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নেভেলি চেম্বারলিনের প্রসঙ্গ। যিনি ১৯৩৮ সালে চেকোস্লোভাকিয়ার কিছুটা অংশ থেকে ব্রিটেনের দাবি প্রত্যাহার করে নিয়ে তা কার্যত নাৎসি জার্মানির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। রাহুলের টুইট, ‘‘চিন আমাদের জমি ছিনিয়ে নিয়েছে, অথচ, সরকার চেম্বারলিনের মতো আচরণ করছে। এই ঘটনা চিনের আরও সাহস বাড়িয়ে দেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement