রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
বৃহত্তর মুম্বই বনাম পূর্ব বিদর্ভ। মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে মহাবিকাশ আঘাড়ীর অন্যতম শরিক উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার সঙ্গে মতবিরোধের আবহেই কংগ্রেস আজ ২৩ জন প্রার্থীর দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করল। এখনও পর্যন্ত ৭১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। গত কাল রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির (সিইসি) বৈঠকে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কে সি বেণুগোপাল এবং রাজ্যের নেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, এই বৈঠকে রাহুল কংগ্রেস নেতাদের প্রস্তাবিত তালিকাকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে বর্ণনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সূত্রের মতে, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে যে নামের তালিকা স্ক্রিনিং কমিটি জমা দিয়েছে, তাতে হতাশ রাহুল। বিদর্ভ এবং মুম্বইয়ে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটির আসন উদ্ধবের শিবসেনাকে ছেড়ে দেওয়ায় রুষ্ট তিনি। জানা গিয়েছে, তিনি মহারাষ্ট্র প্রদেশ বিধায়ক দলের নেতা বালাসাহেব থোরাটের কাছে জানতে চান, কেন মহারাষ্ট্র এবং বিদর্ভের দলিত এবং পিছড়ে বর্গের আসনগুলি শরিকদের দিয়ে দিয়েছেন থোরাট। রমেশ চেন্নিথালা এবং নানা পাটোলে— কংগ্রেসের এই দুই নেতাও ‘পক্ষপাতদুষ্ট তালিকা’ তৈরির জন্য রাহুলের ক্ষোভের মুখে পড়েন। রাহুলের অভিযোগ, নিজেদের কথা দৃঢ় ভাবে বলতে না পারার কারণেই আশা অনুযায়ী আসনে লড়তে পারছে না কংগ্রেস। এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘রাহুল ক্ষুব্ধ শুধু মাত্র শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্যই নয়। জেতার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এমন আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্যও।’’
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, হরিয়ানার পরাজয়ের পরে নড়ে বসেছেন রাহুল। অনেকে বলছেন, ২০২৪-এর লোকসভায় কংগ্রেসের আসন সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর যে সুবাতাস বইছিল কংগ্রেস নেতৃত্বের অন্দরমহলে, তা থমকে গিয়েছে। হরিয়ানায় ধাক্কার পরেই কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে ময়নাতদন্ত করতে যে বৈঠক বসে, তাতে রাহুল আঙুল তুলেছিলেন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে। বৈঠকের সেই রাতে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, হরিয়ানায় তাঁর দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁরা সবাই নিজের স্বার্থের কথা ভেবেছেন। দলের স্বার্থের কথা ভাবেননি।