কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। -ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে ভারতের বিরোধটা ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেখানে কী কী ঘটছে, কেন্দ্রকে কোনও রাখঢাক না রেখে তা দেশের মানুষকে জানাতে বললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। তাঁর বক্তব্য, সরকার এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে থাকায় এক এক জন এক এক রকম ধরে নিচ্ছেন আর তাতে আরও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে করোনা সঙ্কটে দেশ যখন ব্যতিব্যস্ত, ঠিক সেই সময়েই।
বৃহস্পতিবার তাঁর টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারকে এই পরামর্শ দিয়েছেন রাহুল। দু’দিন আগে লাদাখের পরিস্থিতি ও চিনের সঙ্গে চলতি উত্তেজনাকে ‘দেশের পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে।
টুইটে এ দিন রাহুল লিখেছেন, “চিন সীমান্তে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম, সরকার সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। তাতে এক এক জন এক এক রকম ভেবে নিচ্ছেন। এর ফলে, এই সঙ্কটের সময়েও আরও বেশি অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কোনও রাখঢাক না রেখে সরকারকে এ বার মানুষের সামনে দাঁড়াতে হবে। ঠিক কী কী হচ্ছে, সব কিছুই জানাতে হবে।’’
মঙ্গলবারও সরকারের কাছে একই আর্জি জানিয়েছিলেন রাহুল। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ‘স্বচ্ছ্বতার প্রয়োজনীয়তা’র কথা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- বাণিজ্যিক কারণেই সীমান্তের উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে চায় চিন, মত বিশেষজ্ঞদের
আরও পড়ুন- চিনের পরিকল্পনা এ বার বহুমুখী, সঙ্ঘাত ছাপিয়ে যেতে পারে ডোকলামকেও
রাহুল বলেছেন, “আমরা নানা ধরনের গল্প শুনছি। সেগুলির উপর নির্ভর করে অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলতে চাই না। এই পরিস্থিতিতে সরকারকেই সব কিছু খোলসা করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে সব কিছু। কোনও রাখঢাক না রেখে। যাতে পরিস্থিতির গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পারেন আর সেই মতো নিজেদের তৈরি রাখতে পারেন।’’
গত ৫ মার্চ থেকেই পূর্ব লাদাখের কাছে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চিনা সেনাদের প্যাংগং হ্রদ ও গালওয়ান উপত্যকায় ঢুকে পড়ার খবর আতে থাকে। ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতিরও খবর আসে।
গত কাল বিদেশমন্ত্রক জানায়, যত রকম ভাবে যোগাযোগ রেখে চলা হয়, সেই সব রকম ভাবেই চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে কূটনৈতিক স্তরেও।