রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে বিতর্কের আবহেই এ বার এর বিরোধিতায় সরব হল কংগ্রেস। রবিবার রাহুল ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর ধারণাকে দেশের ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত’ বলে অভিহিত করেছেন। ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত সমস্ত দিক পর্যালোচনা করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার রাতে এই কমিটির সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। রবিবার রাহুলের মন্তব্যের পর মনে করা হচ্ছে, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরও সুর চড়াতে চলেছে কংগ্রেস।
রবিবার দুপুরে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রাহুল সংবিধানের লাইন উদ্ধৃত করে লেখেন, “ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারত হচ্ছে রাজ্যগুলির সমষ্টি।” তার পরই ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর ধারণাকে আক্রমণ করে রাহুল লেখেন, “এই ধারণা ভারতের যুক্তরাষ্ট্র এবং রাজ্যগুলির উপরে আঘাত।”
‘এক দেশ, এক ভোট’ (ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন) নীতি রূপায়ণের কমিটিতে কারা কারা থাকছেন, শনিবার সেই নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আগেই জানা গিয়েছিল, কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এ ছাড়া, আরও সাত জন সদস্যকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটিতে প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, এনকে সিংহ, সুভাষ সি কাশ্যপ, হরিশ সালবে এবং সঞ্জয় কোঠারী। অর্থাৎ, কোবিন্দকে নিয়ে মোট আট জন সদস্য থাকার কথা ছিল ‘এক দেশ এক ভোট’ রূপায়ণ কমিটিতে।
শনিবার রাতে এই কমিটিতে থাকতে পারবেন না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে চিঠি দেন অধীর। এই কমিটি গঠনকে কেন্দ্রের ‘চোখে ধুলো দেওয়ার’ চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে কেন কমিটিতে রাখা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর।