হোক না বাহান্ন। তাই দিয়েই বিজেপিকে রোখার পণ করেছিলেন রাহুল গাঁধী। সংসদের প্রথম দিনেই তার ঝলক দেখা গেল। দেখালেন রাহুল ও সনিয়া, সাধ্বী প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে গলা তুলে।
মন্ত্রীদের পর রাজ্যের আদ্যক্ষর ধরে ধরে সাংসদরা আজ শপথ নিচ্ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের পালা আসতে শপথ নিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞাও। সকালেই তিনি হুইলচেয়ারে করে লোকসভায় এসেছিলেন। শপথ নেওয়ার সময় নিজের নাম বললেন, ‘সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর স্বামী পূর্ণচেতনানন্দ অবধশানন্দ গিরি।’ প্রয়াগের কুম্ভের সময় ভারত ভক্তি আখাড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর ঘোষিত হওয়ার পর এখন এই নামেই নিজের পরিচয় দেন সাধ্বী। অথচ নির্বাচন কমিশনের থেকে লোকসভা সচিবালয় যে নাম পেয়েছে, তাতে শুধু সাধ্বী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুরই আছে।
এই নাম বিতর্ক নিয়েই এ দিন রে-রে করে উঠলেন সনিয়া ও রাহুল। সঙ্গে কেরলের কংগ্রেস সাংসদরা। সঙ্গে কেরলের আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রনও। সনিয়া-রাহুলের নির্দেশে বাকি সাংসদরাও আপত্তি তুলে বললেন, শপথ নেওয়া একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। নিজের নাম কী করে বদল করতে পারেন তিনি? সাধ্বী বোঝানোর চেষ্টা করেন, এটিই তাঁর নাম। এই নামই লিখে দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেন প্রোটেম স্পিকার বীরেন্দ্র কুমার। তিনি বলেন, ভোটে জিতে আসার পর সার্টিফিকেটে যে নাম আছে, সেটিই নিতে হবে।
সাধ্বীর এত বড় নাম শুনে প্রোটেম স্পিকারও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। সাধ্বী এমনিতে শপথ নিচ্ছিলেন সংস্কৃততে। আজ প্রায় কয়েক ডজন বিজেপি সাংসদ সংস্কৃতে শপথ নেন। প্রোটেম স্পিকার বলেন, হয় ঈশ্বরের নামে অথবা সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া যাবে। সেটিই নিয়ম। তখন নাম না বলেই সংস্কৃতে শপথ নেন সাধ্বী। শেষে যোগ করেন ‘ভারত মাতা কি জয়’। তখন আরও এক বার তেড়েফুঁড়ে নামেন কংগ্রেস সাংসদরা। এ বারে বিজেপি শিবির থেকে আপত্তি ওঠে, ‘‘ভারতমাতা কি জয়’ বললে কিসের আপত্তি?’’ রাহুল নিজের দলের সাংসদদের থামতে বলেন। জানিয়ে দেন, ‘ভারতমাতা কি জয়’-এ আপত্তি তোলার দরকার নেই। তাতে বিজেপিরই সুবিধা হবে। কংগ্রেসের নেতারা পরে বলেন, ‘‘রাহুল বলেছিলেন, বাহান্ন জন নিয়েই সরকারকে রুখবেন। আজ প্রথম দিনেই সেটি সফল।’’