রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধীর দ্বিতীয় ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা শুরু হচ্ছে রবিবার থেকে। অবশ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে এই যাত্রার নাম রাখা হয়েছে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। প্রথম ‘ভারত জোড়ো’ দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়ে উত্তরের কাশ্মীরে গিয়ে শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় ‘ভারত জোড়ো’য় দেশের পূর্ব এবং পশ্চিমকে ‘জুড়তে চায়’ কংগ্রেস।
কংগ্রেসের তরফে এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে মণিপুরের থৌবল জেলা থেকে শুরু হবে রাহুলের এই যাত্রা। ৬৭ দিন ধরে ১৫টি রাজ্যের ১১০টি জেলা ছুঁয়ে মার্চের ২০-২১ তারিখে মুম্বইয়ে পৌঁছে এই যাত্রা শেষ হবে। তবে প্রথম ‘ভারত জোড়ো’-র মতো সম্পূর্ণ পথ পায়ে হেঁটে নয়, খানিক পায়ে হেঁটে এবং খানিক বাসে চেপে এই যাত্রায় শামিল হবেন কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা।
এই যাত্রার সূত্র ধরে ভোটের আগে প্রায় ১০০টি লোকসভা কেন্দ্রে পৌঁছতে চাইছে কংগ্রেস। মণিপুরের পর এই যাত্রা পৌঁছবে উত্তর-পূর্বের আর এক রাজ্য নাগাল্যান্ডে। তার পর অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় হয়ে রাহুলেরা আসবেন পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দিন ধরে সাতটি জেলার মোট ৫২৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিহারে ঢুকবেন তাঁরা। তার পর ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত হয়ে মহারাষ্ট্রে গিয়ে শেষ হবে এই যাত্রা। তবে গোষ্ঠীহিংসায় দীর্ণ মণিপুর থেকে যাত্রা শুরু করার অনুমতি কংগ্রেসকে দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শনিবার অবশ্য মণিপুরে সে রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। সঙ্গে ছিলেন মণিপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেইশাম মেঘচন্দ্র সিংহও। সাংবাদিক বৈঠকে জয়রাম জানান, দশ বছরের মোদী শাসনের অবিচারের কথা মাথায় রেখেই কংগ্রেসের এই ‘ন্যায় যাত্রা’। তিনি বলেন, “এই যাত্রা একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। কিন্তু এই যাত্রা আদর্শের জন্য, ভোটের জন্য নয়।”
এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাহুলের নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করে কংগ্রেস। সে বার ওই যাত্রা ১২টি রাজ্যের ৭৫টি জেলার উপর দিয়ে গিয়েছিল।