Wayanad Landslide

ধসবিধ্বস্ত ওয়েনাড়ের জন্য বেতনের পুরো টাকাটাই দান রাহুলের, সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান

গত ৩০ জুলাই ভোররাতে যখন ঘুমে আচ্ছন্ন গোটা গ্রাম, তখনই হঠাৎ প্রবল শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে ওয়েনাড়। মুহূর্তেই মাটির তলায় চাপা পড়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। এর পরের ক’দিন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সরিয়ে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১২
Share:

বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

বিধ্বস্ত কেরলের ওয়েনাড়ের জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া গ্রামগুলোতে পুনর্বাসনের কাজ চলছে। ভাঙা বাড়িঘর পুনর্নিমাণ করছে প্রশাসন। এ বার সেই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। নিজের পুরনো সংসদীয় এলাকার জন্য সাংসদ হিসাবে প্রাপ্ত পুরো মাসিক বেতনই দান করলেন তিনি।

Advertisement

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং কেরলের ওয়েনাড়— দুই কেন্দ্র থেকেই লড়েছিলেন রাহুল। দুই কেন্দ্রেই জেতেন। তবে পরে ওয়েনাড় ছেড়ে দেন। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকেই জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন রাহুল। নিজের পুরনো কেন্দ্রের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা জানালেন তিনি। ত্রাণ এবং পুনর্বাসন খাতে দু’লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দান করেছেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা।

এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেন রাহুল সাহায্যের কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘‘ওয়েনাড় বাসিন্দারা যে অকল্পনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তা থেকে তাঁদের পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের সমর্থনের প্রয়োজন। আমি ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের প্রচেষ্টায় সহয়তার জন্য পুরো মাসের বেতন দান করছি। আমি সমস্ত দেশবাসীকে অনুরোধ করব, সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে। সামান্য কিছুও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। ওয়েনাড় আমাদের দেশের একটি সুন্দর অংশ।’’ কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ‘স্ট্যান্ড উইথ ওয়েনাড়’ বলে একটি অ্যাপও চালু করেছে।

Advertisement

গত ৩০ জুলাই ভোররাতে যখন ঘুমে আচ্ছন্ন গোটা গ্রাম, তখনই হঠাৎ প্রবল শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে ওয়েনাড়ে। মুহূর্তেই মাটির তলায় চাপা পড়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। এর পরের ক’দিন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সরিয়ে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। সাড়া মেলেনি। কোথাও আবার ভূমিধসের পর আমূল বদলে গিয়েছে ভূমিরূপও। ভূমিধসের পর এক মাস কেটে গিয়েছে। এখনও ছন্দে ফেরেনি ধস কবলিত পাহাড়ি এলাকার জনজীবন। উদ্ধারকাজ শেষের মুখে। সরকারি হিসাবে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮০ জন। সর্বস্বান্ত হাজার হাজার মানুষ। এখনও নিখোঁজ ১৩০ জন। কিন্তু অন্যান্য সূত্র বলছে, মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement