রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
এনডিএ-র নেতারা কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করলেন রাহুল গান্ধী। একটি বিদেশি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি দাবি করেছেন, ‘‘ছোটখাটো গন্ডগোলেই এই সরকার পড়ে যেতে পারে। স্রেফ একটি শরিক দলকে সরকারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে।’’ তাঁর মতে, মোদী শিবিরের মধ্যেই এ নিয়ে ‘প্রবল অসন্তোষ’ রয়েছে।
এ বার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। চন্দ্রবাবু নায়ডু, নীতীশ কুমারের মতো শরিকদের উপরে নির্ভর করে সরকার গঠন করতে হয়েছে। সেই জোট ভাঙতে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের তরফে নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলেও নীতীশের দল জেডিইউ দাবি করেছে। এ বার রাহুল ‘এনডিএ নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন’ বলে ফের দাবি করায় বিজেপি মনে করছে, এ সব বলে রাহুল আসলে এনডিএ-র মধ্যে অবিশ্বাসের আবহ তৈরি করতে চাইছেন। কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আপাতত শপথ নিলেও শরিকি জট পুরো কাটেনি।
রাহুল সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এ বারের লোকসভা ভোটে বড় রকম পালাবদল ঘটে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে যে ধ্যানধারণা ও ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছিল, তা ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়িয়ে ফায়দা তোলার কৌশল দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। যে দল গত দশ বছর ধরে অযোধ্যার কথা বলছিল, তারা অযোধ্যাতেই হেরে গিয়েছে।
লোকসভায় বিরোধীদের শক্তি বাড়লেও রাহুল বিরোধী দলনেতার পদে বসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেননি। তিনি সংগঠনে মন দিতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু দল চাইছে, তিনি বিরোধী দলনেতা হোন। আগামী সোমবার থেকে মল্লিকার্জুন খড়্গে ও রাহুল চলতি বছরে ভোটমুখী চার রাজ্য— মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে
নির্বাচনী কৌশল নিয়ে বৈঠকে বসবেন। চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেস হরিয়ানায় বিজেপি শাসিত সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বলে বিধানসভায় আস্থাভোট চাইবে।
বুধবার রাহুলের জন্মদিন। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ফল আগের তুলনায় ভাল হয়েছে বলে দলের কর্মীরা কংগ্রেস দফতরে উৎসব করতে চাইছিলেন। কিন্তু রাহুল কোনও রকম উৎসবের বদলে গরিবদের সাহায্য করার অনুরোধ করেছেন।