(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ডোডায় সন্ত্রাসবাদীদের হামলার পরে দেশবাসীরা ঠিক কী চাইছেন, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানালেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, জম্মু এবং কাশ্মীরে যে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা হচ্ছে, তার নেপথ্য কারণ একটিই। ভারতের উত্তরের এই রাজ্যটির অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। সেখানে বিজেপির ভুল নীতির মাসুল গুনতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষ এবং জওয়ানদের। এমতাবস্থায় মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা কী হওয়া উচিত, সে বিষয়েও সবিস্তার জানিয়েছেন রাহুল।
সোমবার রাতেই জম্মু এবং কাশ্মীরের ডোডায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানদের। সেই গুলির লড়াইয়ে এক ক্যাপ্টেন-সহ চার জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহত হন জনা দু’য়েক পুলিশকর্মীও। মঙ্গলবার ভোরে সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই মৃত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন রাহুল। সেই পোস্টেই কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি ‘দেশভক্ত দেশবাসী’র দাবি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান রাহুল।
রাহুল লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরে একের পর এক এমন ঘটনা অত্যন্ত ভয়ানক এবং উদ্বেগের। নিরন্তর সন্ত্রাসবাদীরা হামলা করছেন সেখানে। বিজেপির ভুল নীতির মাসুল গুনতে হচ্ছে জওয়ান এবং তাদের পরিবারকে। এই পরিস্থিতিতে দেশভক্ত সমস্ত ভারতীয়ের দাবি একটাই। বার বার হওয়া নিরাপত্তা বিচ্যুতির সম্পূর্ণ দায় নিজের কাঁধে নিক সরকার। সেই সঙ্গে যারা সেনাবাহিনী এবং দেশের ক্ষতি সাধন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক।’’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই কারণে জম্মু-কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। কাঠুয়া, কুলগাম-সহ একাধিক এলাকায় চলতি মাসেই সেনাবাহিনীর উপর হয়েছে জঙ্গি হামলা। কখনও সেনা কনভয়ে, কখনও আবার সেনাগাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে গোলাগুলি।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে জম্মুতে জঙ্গি হানায় ওই নিয়ে ৪৭ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকার তুলনায় হামলার সংখ্যা কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।