—ফাইল চিত্র।
এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি কি বহাল থাকবে না কি বাতিল হবে? সে বিষয়ে মঙ্গলবারও সিদ্ধান্ত হল না সুপ্রিম কোর্টে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মঙ্গলবার সকালে উঠেছিল মামলাটি। তিনিই লোকসভা ভোটের আগে ওই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময় মেনে মঙ্গলবার আবার মামলাটি তাঁর এজলাসে শুনানির জন্য উঠলে প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে। তার পরেই এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে।
সুপ্রিম কোর্ট ওই বক্তব্য জানানোর জন্য দু’সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষ— রাজ্য, এসএসসি, সিবিআই, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক তাঁদেরকে। আর এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পরে, অর্থাৎ অগস্টের শুরুতে।
মঙ্গলবার এসএসসি মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পরেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, তারা এ সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দিতে চায় আদালতে। এর পরে এসএসসিও সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, তারা হলফনামা জমা দিতে ইচ্ছুক। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য নোডাল কাউন্সিলর নিয়োগ করার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। পরে আদালত জানায় ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষেরই বক্তব্য শুনবে তারা। ওই মূল পাঁচ পক্ষ ছাড়া অন্য কেউ যদি তাঁর বক্তব্য জানাতে চান, তবে লিখিত ভাবে পাঁচ পাতার মধ্যে সেই বক্তব্য জানাতে হবে, কিন্তু কোনও পক্ষই নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য দু’সপ্তাহের বেশি সময় পাবে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয় দু’সপ্তাহ পরে কারও বক্তব্য শোনা হবে না।
সমস্ত পক্ষের বক্তব্য জমা পড়ার এক সপ্তাহ পরে, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার ভবিষ্যৎ সে দিন নির্ধারিত হয় কি না, তা নিয়ে কৌতূহল থাকছে।
গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতে যান চাকরিহারাদের একাংশও। গত ৭ মে ওই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় আরও তিন সপ্তাহ সময় মিলল। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার জানাল, তাঁরা এই মামলার সঙ্গে জড়িত পাঁচ পক্ষের বক্তব্য জানবে আগে। দু’সপ্তাহের মধ্যেই সেই বক্তব্য জানাতে হবে রাজ্য, সিবিআই, এসএসসি, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে মামলা তাঁদেরকে। মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পরে, অর্থাৎ অগস্টের শুরুর দিকে ওই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।
সুপ্রিম কোর্ট জানাল, চাকরি বাতিলের মামলায় পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে। এই পাঁচ পক্ষ হল— ১) রাজ্য ২) এসএসসি ৩) মূল মামলকারী ৪) চাকরিহারা এবং ৫) সিবিআই। এ ছাড়া অন্য কোনও পক্ষ তাদের বক্তব্য জানাতে চাইলে লিখিত ভাবে সুপ্রিম কোর্টে জানাতে পারবে। তবে এই বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখতে হবে পাঁচ পাতার মধ্যেই। তার বেশি নয়।
সুপ্রিম কোর্ট জানাল ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য এবং এসএসসি-সহ সমস্ত পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে। তার পরে কারও হলফনামা গ্রহণ করা হবে না।
রাজ্যের নোডাল কাউন্সিল হিসাবে আইনজীবী আস্থা শর্মাকে নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। অন্য পক্ষেরও নোডাল কাউন্সিল নিয়োগ করা হবে। ওই নোডাল কাউন্সিলের কাছে এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট বক্তব্য জানাতে হবে।
এসএসসি জানাল তারাও হলফনামা দিতে চায়। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাল তারা।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে হাজির আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য জানাল, এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতে চায়।
মঙ্গলবার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শুরু হল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে।
শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছিলযে, সুপারনিউমেরারি পদ তৈরি নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। কিন্তু এই নির্দেশ চূড়ান্ত নয়। ১৬ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের মুচলেকা দিতে হবে। পরে তাঁদের নিয়োগ ‘অবৈধ’ বলে প্রমাণিত হলে অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিতে হবে।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘এখনই চাকরি বাতিল করা হচ্ছে না।যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।’’ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, আপাতত কাউকে বেতন ফেরত দিতে হবে না।
সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চেই শুরু হয় চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ৭ মে এই মামলার শুনানিতে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট, তার উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতে যান চাকরিহারাদের একাংশও।