রাহুল গাঁধী।
দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। তা নিয়ে ‘ও তো প্রতি বছরই হয়’ বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। মোদী সরকারের মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘শ্রমিকেরা নিজেদের দাবিদাওয়ার জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। প্রতি বছরই তাঁরা এমন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে থাকেন।’’
আজকের ধর্মঘট বেশ কিছু রাজ্যে সর্বাত্মক বন্ধের চেহারা নিয়েছিল বলে দাবি করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। দশটি শ্রমিক সংগঠন বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, গোটা দেশ থেকে দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে অসম, কেরল, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, ত্রিপুরার মতো ১৪টি রাজ্যে ধর্মঘট বন্ধের চেহারা নিয়েছে। কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, পঞ্জাব, হিমাচল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গে শিল্প ধর্মঘট হয়েছে।
দিল্লির আশপাশের শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। তবে রাজধানীর যানবাহনে বিশেষ প্রভাব পড়েনি। ধর্মঘটের সকালে ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির মধ্যেই তপন সেন, অমরজিৎ কৌর, জি দেবরাজন, অশোক সিংহ-সহ শ্রমিক নেতারা দিল্লিতে মিছিল করেন। কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছিল। আজ রাহুল গাঁধী ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ২৫ কোটি শ্রমিককে সমর্থন জানিয়ে টুইটে বলেন, ‘‘মোদী-শাহ সরকারের জনবিরোধী, শ্রমিক-বিরোধী নীতি ভয়ঙ্কর বেকারত্ব তৈরি করেছে। আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে দুর্বল করেছে। যাতে মোদীর সুবিধাবাদী পুঁজিপতি বন্ধুদেরকে সে সব বিক্রি করে দেওয়া যায়। ২৫ কোটি শ্রমিক-কর্মচারী এর প্রতিবাদে ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছেন। আমি তাঁদের স্যালুট জানাই।’’ কংগ্রেস যে ধর্মঘটী শ্রমিকদের পাশে রয়েছে, তা বুঝিয়ে দিতে দল আজ শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছে।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির মধ্যে একমাত্র সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস মোদী সরকারের শ্রমিক নীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যোগ দেয়নি। আজ বিএমএস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘রাজনৈতিক দল ও তাদের শ্রমিক সংগঠনগুলির’ ডাকা ধর্মঘটে শ্রমিকরা যোগ দেননি। কারণ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে ডাকা ধর্মঘটে তাঁরা অংশ নিতে চান না। কয়লা, খনি, তেল থেকে ব্যাঙ্ক-বিমার মতো ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজকর্মই হয়েছে বলে বিএমএস-এর দাবি।