(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় অভিযোগ আসার পরও গৌতম আদানি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নরম মনোভাব নিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আজ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাড়ের মুক্কামের একটি জনসভা থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুলের আরও দাবি, দেশের সংবিধান সকলকে সমানাধিকার দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু আদানি সম্পর্কে মোদী যে রকম পক্ষপাতপূর্ণ মনোভাব নিয়ে চলছেন, তা সংবিধানের ভাবনার বিরোধী।
উপনির্বাচনে বিরাট জয়ের পর আজ সকালে প্রিয়ঙ্কা ওয়েনাড়ে পৌঁছন, সঙ্গে রাহুল। প্রিয়ঙ্কাকে পাশে নিয়ে ওয়েনাড়ের সভায় রাহুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, আদানি ভারতে দোষী নন, যদিও আমেরিকায় তিনি অভিযুক্ত। এটা ঠিক হচ্ছে না।’’ পাশাপাশি, রাহুল অভিযোগ করেন, ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করছে না সরকার। ভূমিধসে মৃত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর রাহুলের মন্তব্য, ‘‘আমরা ক্ষমতায় নেই ঠিকই। তবে কেরল সরকারের উপর আমরা চাপসৃষ্টি করব যাতে তারা আপনাদের সহযোগিতা করে।’’ নবনির্বাচিত সাংসদ প্রিয়ঙ্কার উদ্দেশে ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল বলেন, ‘‘এখানকার মানুষের সমস্যার কথা শুনে সেই অনুযায়ী তোমাকে এগোতে হবে।’’ উপস্থিত জনতার উদ্দেশে রাহুল জানান, কাগজেকলমে তিনি এখানকার সাংসদ না থাকলেও ওয়েনাড়ের মানুষকে সব সময়ে সহযোগিতা করে যাবেন।
রাহুলের পাশাপাশি মোদী সরকারকে আজ নিশানা করেছেন প্রিয়ঙ্কাও। থিরুভামবাদীতে একটি সভায় তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের এনডিএ সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করছে। প্রিয়ঙ্কার কথায়, ‘‘আমরা সংবিধানে প্রতিষ্ঠিত বিষয়গুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করে যাব।’’ আদানি গোষ্ঠীর নাম না করেই কংগ্রেস নেত্রীর অভিযোগ, বিজেপি তাদের ‘বন্ধুদের’ হাতে সমস্ত ক্ষমতা ও সম্পদ তুলে দিচ্ছে। তবে কংগ্রেস মানুষের হাত শক্ত করতে চায়। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘সংসদে বিজেপি মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি আলোচনা করতে আগ্রহী নয়। তারা কোনও নিয়ম-নীতি মানতে চাইছে না।’’ বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের ফারাককে তুলে ধরে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘বিজেপি বিভেদের কথা বলে। আর আমরা ঐক্যের কথা বলি।’’
নির্বাচনে তাঁকে বিরাট ভাবে জয়ী করার জন্য ওয়েনাড়ের ভোটারদের আজ ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। ওয়েনাড়ের মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে এসেছি আপনাদের সেবা করব বলে। আমার বাড়ি আর দফতরের দরজা আপনাদের জন্য সব সময় খোলা থাকবে।’’ কংগ্রেস নেত্রীর কথায়, ‘‘আপনাদের জন্য সংসদে পৌঁছতে পেরেছি। আমি আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আজ থেকে রোজ আপনাদের ভাবনা, আকাঙ্ক্ষার পাশে দাঁড়াব আমি।’’ আগামী কাল রবিবারও ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার বেশ কয়েকটি জনসভা রয়েছে।