সোমবার রাতে নয়়ডার সেক্টর তিরিশে দিল্লি পাবলিক স্কুলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে যেতে হল ক্লাস ইলেভেনের দুই পড়ুয়াকে। আহতদের একজন কলকাতার বাসিন্দা। এই ঘটনায় ডিপিএস-এর ক্লাস টুয়েলভের মোট ১৮ জন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১২ জনকে এখনও সনাক্ত করা যায়নি।
চলতি মাসের এক তারিখ ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হয়েছিল এই দুই ছাত্র। নিগৃহীতদের মধ্যে একজন জানিয়েছে গত পাঁচ মে, ক্লাস টুয়েলভের কয়েকজন ছাত্র তাকে চরম হেনস্থা করে। ‘‘আতঙ্কে আমার রক্তচাপ আর হার্টবিট বেড়ে যায়। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ জানাবার পরেও কোনও পদক্ষেপই নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপরে ৮ মে রাতে আবার ওই সিনিয়র দাদারা আামাকে ঘিরে ধরে। আমি র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানানোয় ওরা খেপে ওঠে। আমাকে একটা লোহার রড দিয়ে মারতে শুরু করে। আমার এক বন্ধু আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করা হয়। ওরা আমাদের মারধর করে ফেলে চলে যায়। আমি বাবাকে কোনওরকমে ফোন করি। বাবা এসে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।’’ বলেছে আদতে বুলন্দশাহারের বাসিন্দা সেই ছাত্র।
নিগৃহীত দুই ছাত্র জানিয়েছে নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সিনিয়র দাদারা তাদের মারধোর করত। জামা কাপড় খুলে মেঝেতে বসে থাকতে বাধ্য করা হত।
চিকিত্সার পর দু’জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দুই ছাত্রের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন আছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন বুধবারের আগে তারা এই নিয়ে কোনও কথা বলবেন না। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের থেকে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে স্কুলের কাছে।
আরও পড়ুন—বাবার খামার থেকে পাকড়াও রকি যাদব