জিরানিয়ায় সিপিএমের জমায়েতে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত কাছে আসছে, ত্রিপুরায় হামলা-সন্ত্রাসের অভিযোগ এবং তরজা ততই বাড়ছে। এরই মধ্যে বিজেপির ‘দুর্বৃত্ত বাহিনী’র উদ্দেশে গুন্ডাগিরি ছেড়ে শান্তির পথে ফেরা এবং লেখাপড়ায় মন দেওয়ার আহ্বান জানালেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। একই দিনে আবার বিজেপি নেতার উপরে হামলার ঘটনায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বিরোধী কংগ্রেস ও বামেদের দোষারোপ করার পরে অন্য তথ্য দিয়েছে তাঁরই সরকারের পুলিশ!
জিরানিয়ায় মঙ্গলবার দলের মিছিল ও সভায় ছিলেন সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মানিক সরকার, রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মানিক দে, পবিত্র করেরা। সেখানেই বিজেপির ‘দুর্বৃত্ত ও বাইক বাহিনী’র প্রসঙ্গ তুলে মানিক বলেন, ‘‘কী পেলেন, কিছু পাননি! শুধু মানুষের ঘৃণা অর্জন করেছেন। দুর্বৃত্তের নামটা পিঠে লিখে নিয়েছেন! আপনারা শত্রু নন, আপনারাও আমাদের ঘরের সন্তানের মতোই। লাল পতাকা নিতে চান না, আপত্তি নেই। কিন্তু এ সব ছেড়ে দিয়ে লেখাপড়া করুন। নিজের পায়ে দাঁড়ান।’’ এই সূত্রেই সহায়তার জন্য তাঁদের দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার দরজা খোলা আছে বলেও উল্লেখ করেন মানিকবাবু।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এ দিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন বনমালীপুর কেন্দ্রের বিজেপি তফসিলি মোর্চার সভাপতি সুমন দাসকে দেখতে। কংগ্রেস-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সুমনের উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক বার্তায় বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের এই খুন, হিংসার রাজনীতি দীর্ঘ দিন দেখেছে রাজ্যের জনগণ। তারা আবার সেই কালো দিন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কোনও ভাবেই এই অপচেষ্টা আর বরদাস্ত করা হবে না, আমরা রাজনৈতিক ভাবে এর মোকাবিলা করব।’’ কিন্তু পুলিশের তরফে পরে সমাজমাধ্যমে জানানো হয়, ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে। সুমনের বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সুমনের পরিবারের তরফে রাজনৈতিক কারণে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। যে জন্য তিন জনকে নোটিসও দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মণের যদিও অভিযোগ, তোলার টাকার ভাগ নিয়েই মারপিট।