রাজস্থানে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠতেই তড়িঘড়ি সেই পরীক্ষা বাতিল করে দিল রাজ্য সরকার। রাজস্থান পাবসিক সার্ভিস কমিশন (আরপিএসসি)-এর অধীনে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার শুরুর আগেই সমাজমাধ্যমে ওই প্রশ্নপত্র ঘুরতে থাকার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা বাতিল করে দেয় আরপিএসসি।
রাজস্থানের নাগাউরের সাংসদ তথা ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি হনুমান বেনিয়ওয়াল জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল একটি বাসে বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। তাঁদের কাছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রয়েছে। এই খবর পাওয়ামাত্রই রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ওই বাসে অভিযান চালায়। বাকেরিয়া থানার কাছে বাসটিকে আটকে তল্লাশি চালাতেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র উদ্ধার হয়েছে বালে দাবি বেনিওয়ালের। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে বেশির ভাগই সিরোহি এবং জালোর জেলার। জোধপুর থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। দৌসা জেলার পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক কমলেশ কুমার বলেন, “আমাদের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির জন্য যে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নপত্র এসেছিল, সেই প্রশ্নপত্রের বাক্সে যে কোড লেখা ছিল, তার সঙ্গে আমাদের কেন্দ্রের কোডের কোনও মিল ছিল না। আমরা জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই। আমাদের বলা হয় পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে।”
এক সংবাদমাধ্যমকে আরপিএসসি-র সভাপতি হরজি লাল বলেন, “কী ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। উদয়পুর থেকে খবর পেয়েছিলাম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এবং পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। সমস্ত খতিয়ে দেখার পর পরীক্ষার পরবর্তী দিন ঘোষণা করা হবে।”