ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাওয়া, এই অভিযোগ খুব স্পষ্ট নয়। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় এই অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ আনা যায় না বলে রায় দিয়েছেন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গনেড়িওয়ালা। স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা থেকে এক ব্যক্তিকে রেহাইও দিয়েছেন তিনি। পকসো ও ধর্ষণ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় বিচারপতি গনেড়িওয়ালার রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করার সুপারিশ প্রত্যাহার করেছে হাইকোর্ট।
১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা প্রশান্ত জারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর। ২০০৪ সালের ১২ নভেম্বর প্রশান্তের স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। তার পরে প্রশান্তের শ্বশুর দারহোয়া থানায় অভিযোগ করেন, স্ত্রীকে টাকার জন্য হেনস্থা করতেন প্রশান্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। যাবতমালের দায়রা আদালত ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও স্ত্রীর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করার অভিযোগে প্রশান্তের চার বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তাঁর পরিবারের সদস্যেরা মুক্তি পান। প্রশান্ত হাইকোর্টে আপিল করেন।
সেই মামলার রায় বিচারপতি গনেড়িওয়ালা বলেন, ‘‘স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া ও টাকার জন্য স্ত্রীকে মারধরের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু টাকার জন্য মারধরের অভিযোগটাই অস্পষ্ট। আরও প্রমাণ না থাকলে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় হেনস্থার অভিযোগ প্রমাণ হবে না।’’
বিচারপতি গনেড়িওয়ালার মতে, স্ত্রীকে খুন করার চেয়ে প্রশান্ত তাঁর সঙ্গই বেশি পছন্দ করতেন বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। অশান্তির পরে তাঁর স্ত্রী একাধিক বার বাবার কাছে চলে যান। প্রশান্ত গিয়ে তাঁকে নিজের কাছে ফিরিয়ে এনেছেন। শারীরিক সম্পর্ক ফের শুরু করার জন্য একাধিক বার নোটিস পাঠিয়েছেন। অভিযোগে বর্ণিত ঘটনার পরে তিনিই স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন। পরে স্ত্রীর দেহ তাঁর বাবার হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেন। স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টি করেছেন নিজে।