বাহারি নামের প্রতি পঞ্জাবিদের ভালবাসার কথা অজানা নয়। তেমনই নাম-প্রেমের অনবদ্য এক উদাহরণ, সাংগ্রুর কেন্দ্রের শিরোমনি প্রার্থী। উইনারজিৎ সিংহ গোল্ডি। এক নামেই রয়েছে উইনার (ইংরেজি শব্দের অর্থ জয়), জিৎ (অর্থ জয়)। আবার নামের একেবারে শেষে রয়েছে গোল্ডি (সোনা সম্বন্ধীয়), যা জয়ের পরই পাওয়া যায় (স্বর্ণ পদক)।
শিরোমনি অকালি দলের যুবনেতা উইনারজিৎ সিংহ গোল্ডি। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে অবাক কাণ্ড। সাংগ্রুর বিধানসভা আসনে শিরোমনি অকাল দলের প্রার্থীকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রার্থী। কিন্তু দিনের শেষে হেরেও হারলেন না শিরোমনি প্রার্থী।
সাংগ্রুর বিধানসভায় আপ ছিলেন প্রার্থী নরিন্দর কউর ভরজ। প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন বিজয় ইন্দ্র সিংলা, বিজেপি-র অরবিন্দ খন্না ও অকালি দলের প্রার্থী উইনারজিৎ সিংহ গোল্ডি। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, নরিন্দর জিতেছেন। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছেন শিরোমনি প্রার্থী উইনারজিৎ। কিন্তু নামেই যে জোড়া জয়! তাঁর হার হয় কী ভাবে? বিস্তর আলোচনা তর্ক বিতর্কের পর নেটমাধ্যম একবাক্যে স্বীকার করেছে, ওই আসনে ‘উইনার’ আসলে উইনারজিৎ-ই।
বাহারি নামের প্রতি পঞ্জাবিদের ভালবাসার কথা অজানা নয়। তেমনই নাম-প্রেমের অনবদ্য এক উদাহরণ, সাংগ্রুর কেন্দ্রের শিরোমনি প্রার্থী। উইনারজিৎ সিংহ গোল্ডি। এক নামেই রয়েছে উইনার (ইংরেজি শব্দের অর্থ জয়), জিৎ (অর্থ জয়)। আবার নামের একেবারে শেষে রয়েছে গোল্ডি (সোনা সম্বন্ধীয়), যা জয়ের পরই পাওয়া যায় (স্বর্ণ পদক)। অর্থাৎ একটি নামেই তিন-তিনটি জয়। যদিও ভোটের লড়াইয়ে জয় তিনি পাননি। জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান প্রায় ৬৪ হাজারের। তবুও স্রেফ নামের জোরেই বাজার মাত করেছেন উইনারজিৎ সিংহ গোল্ডি।
কংগ্রেসকে হঠিয়ে অরবিন্দ কেজরীবালের আপ পঞ্জাবে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। মোট ১১৭টি আসনের মধ্যে আপ একাই জিতেছে ৯২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১৮টি। উইনারজিতের দল শিরোমনি অকালি পায় মাত্র তিনটি আসন।