Manpreet Singh Badal

পঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা মনপ্রীত সিংহ বাদলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি

পুলিশ মনে করছে, গ্রেফতারি এড়াতে দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন এই বিজেপি নেতা। তাই লুক আউট নোটিস জারির পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিমানবন্দরগুলিকেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:০২
Share:

মনপ্রীত সিংহ বাদল। ফাইল চিত্র।

আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবারই পঞ্জাবের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মনপ্রীত সিংহ বাদলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতর। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার মনপ্রীতের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করল রাজ্য পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ মনে করছে, গ্রেফতারি এড়াতে দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন এই বিজেপি নেতা। তাই লুক আউট নোটিস জারির পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিমানবন্দরগুলিকেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। ভাতিন্ডায় সম্পত্তি কেনার মামলা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তার পরই মনপ্রীতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা রুজু করে রাজ্য ভিজিল্যান্স। একটি এফআইআরও করা হয়েছে মনপ্রীতের বিরুদ্ধে।

এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই মনপ্রীতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। শুধু তাঁর বাসভবনই নয়, আরও বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু মনপ্রীতের কোথাও হদিস মেলেনি। শুধু মনপ্রীত নয়, এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ভাতিন্ডা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির প্রাক্তন মুখ্য প্রশাসক বিক্রমজিৎ শেরগিল, রাজীব কুমার, আমনদীপ সিংহ, বিকাশ অরোরা এবং পঙ্কজ নামে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারি এড়াতে মনপ্রীত আগেই জামিনের আবেদন করে রেখেছিলেন। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। কিন্তু মনপ্রীতের আইনজীবী জানিয়েছেন, জামিনের আবেদন নয়, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যে এফআইআর হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই নতুন করে আদালতে আবেদন জানাবেন। তার মধ্যেই পঞ্জাব পুলিশ লুক আউট নোটিস জারি করায় মনপ্রীত আরও বেকায়দায় পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

২০২১ সালে প্রাক্তন বিধায়ক স্বরূপচাঁদ সিংলা ভাতিন্ডায় সম্পত্তি কেনার ঘটনায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই তদন্ত চালাচ্ছিল রাজ্য ভিজিল্যান্স। বর্তমান বিজেপি সিংলা আগে শিরোমণি অকালি দলের সদস্য ছিলেন। শিরোমণি অকালি দলে থাকাকালীন মন্ত্রী মনপ্রীতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে, মন্ত্রিত্বের ক্ষমতা ব্যবহার করে দু’টি বাণিজ্যিক জমিকে বসতজমিতে পরিবর্তন করিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement